সিবিআই’র দল জেরা করছে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার প্রধান প্রণব দাসকে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আরেকটি দল গিয়েছে পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান মীরা হালদারের বাড়িতে।
রবিবারের পর সোমবারও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। নদীয়ায় রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জিকে জেরা করা হয়েছে। হাওড়ায় উলুবেড়িয়ার প্রাকডতন পৌরপ্রধান অর্জুন সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এদিনই মধ্যমগ্রাম পৌরসভায় সিবিআই’র তদন্তকারী দল গিয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূল নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে তাঁর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-র নাম। অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি যদিও কলকাতা হাইকোর্টে ধমক খেয়েছে তদন্ত না এগনোয়। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে তদন্ত হলেও টাকা হাতবদল হয়ে কোথায় গিয়েছে আদালতে জানাতে পারেনি সিবিআই বা ইডি। হাইকোর্টের নির্দশে শুরু হয় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। এই তদন্তে ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন পৌরসভায় টাকার বিনিময়ে অবৈধ নিয়োগের তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
ডায়মন্ড হারবার পৌরসভায় ২০১৬’তে ১৬ জনের নিয়োগ ঘিরে বেনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই সময়ে পৌরপ্রধান ছিলেন মীরা হালদার। তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই’র সূত্র।
এর আগে, রবিবার ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রবিবারই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘তল্লাশি তো মাঝেমাঝেই হচ্ছে। কিন্তু তদন্ত হচ্ছে না ‘আইওয়াশ‘?’’ সিবিআই এবং ইডি’র তল্লাশি লোকদেখানো, এই অভিযোগ উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল জবাবে।
Comments :0