রুক্ষ রাস্তায় চলছে পদযাত্রা। আদিবাসী প্রধান মালকানগিরির গ্রামে গ্রামে চলছে বৈঠক। সিপিআই(এম) ওডিশা রাজ্য কমিটি দাবি তুলেছে বনাঞ্চলে জমির অধিকার আইন মেনে গরিব আদিবাসী মানুষকে পাট্টা দিতে হবে। বাড়াতে হবে রেগার কাজ, বাড়াতে হবে মজুরিও।
টানা আট দিন চলছে পদযাত্রা, কোনও কোনও গ্রামে সভা হচ্ছে রাতেও। রাতেই স্থানীয়রা যোগ দিচ্ছেন বৈঠকে। সিপিআই(এম) ওডিশা রাজ্য সম্পাদক অলিকিশোর পট্টনায়কও রয়েছে পদযাত্রায়।
এলাকার পর এলাকায় মহিলারা যোগ দিচ্ছেন পদযাত্রায়। শামিল হচ্ছেন দাবিতে। এর আগে মহারাষ্ট্রে নাসিক থেকে মুম্বাইয়ের যে পদযাত্রা ২০১৮’তে সাড়া দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেটি সংগঠিত করেছিল সিপিআই(এম)। সেই কৃষক লঙ মার্চেরও অন্যতম প্রধান দাবি ছিল বনাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী এবং ভূমিহীন মানুষকে পাট্টা দেওয়ার।
বোনাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লক্ষ্মণ মুন্ডাও রয়েছেন পদযাত্রায়। বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় চলছে বৈঠক। হচ্ছে কর্মীসভাও।
বামপন্থীদের সমর্থনে কেন্দ্রে ইউপিএ-১ সরকারে মেয়াদে পাশ হয়েছিল বনাঞ্চলে জমির পাট্টা আইন। তার প্রয়োগ নিয়ে বারবারই আন্দোলন হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার আসীন হওয়ার পর পাট্টার আবেদন নাকচ হতে থাকায় বেড়েছে ক্ষোভ। বন সংরক্ষণ আইনকে সংশোধন করা হয়েছে। কর্পোরেটকে জঙ্গলের জমির অধিকার দেওয়ার খোলা রাস্তা করা হয়েছে। বস্তুত বনাঞ্চলের বাসিন্দাদের পাট্টা চাওয়ার আইনি অধিকারকে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে বলে বারবারই সরব সিপিআই(এম)।
মালকানগিরির মতো আদিবাসী প্রধান জেলাগুলিতে বসতি এবং জীবিকা থেকে উচ্ছেদের বাস্তবতা দশকের পদ দশকের। বহুক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবিও স্বীকৃত হয়নি। বনাঞ্চলে জমির অধিকার আইনে উচ্ছেদের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের সংস্থান রয়েছে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ না হলে জমির স্বীকৃতিই থাকছে না। গ্রামের পর গ্রামে বৈঠকি সভায় সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
MALKANGIRI CPIM
মালকানগিরিতে টানা পদযাত্রা লাল ঝান্ডার, আদিবাসীদের পাট্টার দাবি
×
Comments :0