Migrant Worker Death

ভুটানে গাড়ি খাদে পড়ে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা আন্তর্জাতিক

রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোন শিল্প হয়নি। ২০১১ সালের পরে বাড়েনি একটাও কলকারখানা।উল্টে বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে বন্ধ হয়েছে একের পর এক চা বাগান। বাংলায় কাজের অভাব, তাই রাজ্যে ছেড়ে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার যুবক যুবতী পরিযায়ী হচ্ছেন কাজের সন্ধানে। আলিপুরদুয়ার জেলায় আবারও ভীন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চালক সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। রফিকুল ইসলাম(৫১) নামে একজন ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার দেওগাওঁ এর বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলার সহ সম্পাদক ছিলেন। ভাটনে তিনি রাজমিস্ত্রি কাজ করতেন। বাকিরা ভুটানের বাসিন্দা ছিলেন।
মঙ্গলবার ভুটানের ধুমযায় পাহাড়ের গভীর খাদে পড়ে যায় ছোটো গাড়িটি। দেহ উদ্ধার করতে ভুটান পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মোবাইলে লোকেশন ট্রাক করে রফিকুল ইসলামের দেহ খুঁজে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। রফিকুল ভুটানে কাজ করতেন তার সাথে তার দুই ভাই ছিলেন। বাড়িতে ফেরার সময় তার দুই ভাইকে অন্য গাড়িতে তুলে দিয়ে নিজে আলাদা ছোটো গাড়ি করে ফিরছিলেন অন্যদের সঙ্গে। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হলো না। গ্রামের শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নৃপেন খাসনবিস বলেন, রাজ্যে নেই শিল্প নেই কর্মসংস্থান। ১০০ দিনের কাজে চুরি হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু পুরনো চুরির জন্য নতুন কাজে টাকা দেবে না-এই যুক্তি খাটে না। এতে বাংলার মানুষকেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।  এই অবস্থায় রাজ্যের শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে ছুটছে কাজের সন্ধানে। রাজ্যের কাছে কোনো হিসেব নেই। কত পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন কাজের জন্য। পরিবারকে দুবেলা দু মুঠো অন্ন তুলে দিতে না পেড়ে ভীন রাজ্যে পাড়ি  দিচ্ছেন। কোনও রকম সামাজিক সুরক্ষা ছাড়াই অত্যন্ত কঠিন ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ করেন। একদিকে কর্মসংস্থান নেই অপর দিকে ভীন রাজ্যে কত শ্রমিক কাজ করতে যাচ্ছে তার ও কোনো হিসেব নেই রাজ্যের কাছে। এই বিষয় গুলি গুরুত্ব দিয়ে সরকারের দেখা উচিত।’’

Comments :0

Login to leave a comment