Bangladesh Gopalganj

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র সমাবেশে সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৪

আন্তর্জাতিক

গোপালগঞ্জে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

মীর আফরোজ জামান: ঢাকা  

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ শহরে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস বুধবার রাত ৮টায় ‘গণশক্তি’-কে বলেন, “আমাদের এখানে ৪জনের মরদেহ আনা হয়েছে নিহতরা হলেন– শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রজমান কাজী (১৯), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।’’
এদিকে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা  পর্যন্ত কারফিউ থাকবে। এর আগে বিকালে জেলা প্রশাসন পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল
গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়।  এ সময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টার পর পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির সভা শুরুর আগে বেলা দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশের মঞ্চে এক দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় নিরাপদে গোপালগঞ্জ ছেড়েছেন অবরুদ্ধ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
বুধবার বিকাল ৫ টার পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বের হয় তাদের গাড়িবহর।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন যে তারা বিকাল পাঁচটার পরে গোপালগঞ্জ ছেড়ে বের হয়ে যান।
কড়া পাহারায় তাদের ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ির বহর গোপালগঞ্জ ছাড়ে। এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
এর আগে মাদারীপুরগামী পথে হামলায় এনসিপির গাড়িবহরে ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন এবং গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। এনসিপি হামলার জন্য দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের।
ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। 
কারা হামলা করেছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এনসিপি অভিযোগ করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগ, ছাত্রলিগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা হামলা করেছে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বাম জোট এ ঘটনায় ইউনুস সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে।

Comments :0

Login to leave a comment