SFI

হাইকোর্টের রায় আংশিক জয়, মূল দাবী ছাত্র ভোট বললো এসএফআই

রাজ্য কলকাতা

হাইকোর্টের নির্দেশের দুসপ্তাহ পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল অবৈধ ইউনিয়নের ঘরগুলি বন্ধ করতে হবে। তাহলে কি এই ঘরগুলোয় সমস্তরকম অপরাদের উপকরণ, তথ্য-প্রমাণ সব লোপাট করার জন্যই কি এই দুসপ্তাহ সময় নিলেন শিক্ষামন্ত্রী? প্রশ্ন তুলেছেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশিকা এবং পর্যবেক্ষণ আসার পরই এসএফআই রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসএফআই। রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে তৃণমূল সরকার কীভাবে মনোজিৎ মডেল দিয়ে দখল করে রেখে সেখানে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে চলেছে তা নিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। তিনি অভিযোগ করেছেন, "তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা এই মনোজিৎদের ক্ষমতার আচ্ছাদনে লালন পালন করে ক্যম্পাসগুলোয় অপরাধ সিন্ডিকেটের চাষ করে চলেছে। এরমধ্যে যেমন আছে ধর্ষণ, হুমকি এমনকি হত্যার নিদর্শনও আছে। এসএফআই এই ক্রিমিনাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লাগাতার রাস্তায়, ক্যাম্পাসে লড়াই আন্দোলনে থেকেছে। প্রাণ দিতে হয়েছে সুদীপ্ত গুপ্তদের। ঠিক তেমনভাবেই এসএফআই ২০২৩ সাল থেকে আইনি পথেও লড়াই চালিয়ে এসছে। হাইকোর্টে এসএফআই'র করা মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশিকা এসেছে আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রভোট সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে সরকারকে। ফলে এটা এসএফআইএর আংশিক জয় এবং এই জয়কে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সমস্ত কলেজে অবিলম্বে ছাত্রভোট সম্পন্ন করতে হবে।" 
ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাড়াও এতদিন অবৈধ ইউনিয়ের লুট করা ইউনিয়ন ফি এর হিসাব প্রকাশের দাবি তোলে এসএফআই। জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছে অথচ ফলাফল এখনও বেরোয়নি। ওবিসির সংকটকে সামনে রেখেই কলেজ ভর্তির প্রক্রিয়ার মতো জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড বিলম্ব করছে। সেইসঙ্গে কলেজের ভর্তির প্রক্রিয়া লাগাতার সময়সীমা বাড়িয়ে চলেছে সরকার। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেল। অথচ ছাত্রছাত্রীরা এখনও কলেজে ভর্তিই হতে পারলো না। এই সমস্ত দাবি নিয়ে লাগাতার সমস্ত ক্যম্পাসের গেটে লড়াইএ নেমেছে এসএফআই।


 

Comments :0

Login to leave a comment