Tariff War China

ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ মোকাবিলায় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে জাপান, দঃ কোরিয়া

আন্তর্জাতিক

আমেরিকা শুল্কের দেওয়াল তুললেও বিকল্প বাণিজ্যের পথ খোলা রাখছে চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। তিন দেশের মধ্যে সবিস্তারে অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে মঙ্গলবার। 
এপ্রিলের দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়তি হারে আমদানি মাশুল কার্যকর করবে আমেরিকা। আমেরিকায় মালপত্র বিক্রি করতে হলে তার দাম বাড়বে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আসীন হয়ে শুল্কযুদ্ধে নেমে পড়েছেন। আমেরিকার নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর রাজনৈতিক স্লোগান সামনে রেখে অন্য দেশগুলিকে কার্যত শাসাচ্ছেন তিনি। ভারত নতজানু হলেও আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডা, মেক্সিকো থেকে চীন, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন পালটা শুল্ক চাপানোর রাস্তা নিচ্ছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর পক্ষে আলোচনা।  
প্রায় পাঁচ বছর পর এশিয়ার এই তিন শক্তিশালী অর্থনীতি কাছাকাছি এল বলে জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা।
জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কাঁচামাল চীনের থেকে আমদানি করবে বলে ঠিক হয়েছে। চীন জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে তথ্য প্রযুক্তির চিপ কিনবে। 
জানানো হয়েছে যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি তৈরির দিকে দ্রুত এগতে সম্মত হয়েছে তিন দেশই। 
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর পক্ষে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে লেনদেন দ্রুত বাড়িয়ে নেওয়ার পক্ষে একমত তিন দেশই। 
২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের ‘পালটা শুল্ক’ নীতি চালু হচ্ছে। সব দেশের ওপরই চাপানো হয়েছে ‘পালটা শুল্ক’। ট্রাম্পের যুক্তি, আমেরিকার পণ্য আমদানির সময় সব দেশই শুল্কের হার বাড়িয়ে রাখে। 
চীনের পণ্যে শুল্কের হার বাড়ানো হয়েছিল পূর্বতন বাইডেন প্রশাসনের সময়েই। আরও ১০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। চীন পালটা শুল্ক চাপানোয় মোট ২০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। 
কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন। যদিও জ্বালানি তেল, বিরল খনিজের জন্য আমেরিকাকে প্রতিবেশী এই দুই দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়।
মোটরগাড়ির ওপর শুল্ক বাড়ানোয় জাপানের টয়োটা, নিসান এবং হন্ডার পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বাড়তি চেপেছে। শুল্ক চাপানোর ফলে বিদেশ পণ্যের বাজার বন্ধ করা যাচ্ছে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে ২ এপ্রিলকে ‘মুক্তিদিবস’ ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।

Comments :0

Login to leave a comment