করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের পার্শ প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত মামলা গ্রহন করলো সুপ্রিম কোর্ট। মামলার শুনানি হবে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে কবে এই মামলার শুনানি হবে তা এখনও জানানো হয়নি। তবে দ্রুত শুনানির যেই আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারী পক্ষ-প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য সম্ভাব্য ঝুঁকি উভয়ই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের তদন্তের দাবি করেছে এবং এই তদন্তটি সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে প্রতিষেধকের ফলে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষরিপুরন দিতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
অ্যস্ট্রাজেনেকা সম্প্রতি জানিয়েছে যে তাদের কোভিড টিকায় ‘বিরল’ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কখনও কখনও তা প্রাণঘাতী হয়েছে। এই বেসরকারি বহুজাতিক ওষুধ সংস্থা ব্যবহার করেছিল অক্সফোর্ডের গবেষণায় পাওয়া নমুনা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের আরেক বেসরকারি সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। তারাই সরকারকে বিক্রি করেছিল ভারতে সবচেয়ে ব্যবহৃত টিকা কোভিশিল্ড। অ্যস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে যে কোভিশিল্ডের ফলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক এদিন দাবি করেছে, স্বাস্থ, পরিকাঠামোয় প্রয়োগের আগে একমাত্র তারাই কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছিল। সেই সঙ্গে হয়েছিল সুরক্ষার পর্যবেক্ষণও। গবেষণার চূড়ান্ত পর্বে কয়েক হাজার জনের ওপর টিকার ফলাফল পরীক্ষা করা হয়েছিল।
ভারত বায়োটেক বলেছে, কোভ্যাক্সিনের সুরক্ষা মূল্যায়ন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছিল। সংস্থার দাবি, রক্ত জমাট বাঁধা, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখা হয়েছিল। সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই টিকাকরণ কর্মসূচিতে চালু হয়েছিল কোভ্যাক্সিন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে স্বীকার করেছে যে তাদের টিকার কারণে রক্ত জমাট বাঁধা, খুব বিরল হলেও, কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। এই সংস্থার টিকা বিভিন্ন ব্র্যান্ড নাম দিয়ে সারা বিশ্বেই বিক্রি হয়েছে।
ব্রিটেনের আদালতে একটি মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে যে কোভিশিল্ড নেওয়ার ফলে মস্তিষ্কে রক্তজমাট বেঁধে স্থায়ী শারীরিক ক্ষতি হয়েছে।
Comments :0