জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল জলপাইগুড়ির আদালত।
দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত সৈকত তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি।
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ও অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে সৈকত সহ চার জনের নামে আত্নহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন তাঁরা। অভিযুক্ত অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও সৈকত বেপাত্তা বলে দাবি করে পুলিশ। তাঁকে ফেরার দেখানো হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে যান মৃত দম্পতির দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির বিধায়কও।
হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের আবেদন নাকচ করে দিলেও পুলিশের এডিজি কে জয়রামনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সৈকতের তরফে জামিন জামিনের আবেদন জানানো হয়। গত ১৬ জুন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন খারিজ হতেই গা ঢাকা দেন সৈকত। সুপ্রিম কোর্টেও যান তিনি।
এদিকে পুলিশ নির্দিষ্ট সময়ে কেস ডায়েরি জমা না করায় জামিন হয় আরও দুই অভিযুক্তের।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খন্ড বাহালে উমেশ গনপত জানান, সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
Comments :0