প্রসঙ্গত, ২০২৩ রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেকায়দায় রাজস্থান কংগ্রেস। দুর্নীতি ইস্যুতে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই জয়পুর শহরে অবস্থানে বসেছেন পাইলট। তাঁর দাবি, ২০১৮’র বিধানসভা নির্বাচনে দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করেই ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপর দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে অবস্থান শুরু করেছেন সচীন পাইলট।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, খাড়গের নির্দেশে সচীনের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেন বেণুগোপাল। এরপর সচীন পাইলটকে নিয়ে কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেন বেণুগোপাল । সেখানে আধাঘন্টা ধরে বৈঠক চলে। এরপর ভূপিন্দর সিং হুডা’র সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন কমলনাথ।
ইতিমধ্যেই সচীন পাইলটের কীর্তিকলাপকে দল বিরোধী আখ্যা দিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সুখজিন্দর সিং রনধাওয়া। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এআইসিসি’র গুরুত্বপূর্ণ নেতা জয়রাম রমেশের তরফেও সচীন পাইলটকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও অবধি নিজের অবস্থানে নড়র রয়েছেন পাইলট। তাঁর দাবি, রাজস্থান কংগ্রেসের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্যই পথে নেমেছেন তিনি।
রাজস্থানে জনপ্রিয়তার নিরিখে খুব একটা খারাপ অবস্থায় নেই অশোক গেহলোটের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। খুব বড় অঘটন না ঘটলে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে চলেছে হাত শিবির। কিন্তু তার মাঝেই বারবার তাল কেটেছে গেহলোট এবং পাইলটের সংঘাতে। কংগ্রেস অন্দরমহলের কোন্দলের দিকে তাকিয়েই ঘুটি সাজাচ্ছে বিজেপি। এই অবস্থায় কমলনাথের দৌত্যে কতটা কাজ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
Comments :0