GAZA CONNECTIVITY

খবর বন্ধ করতে মরিয়া ইজরায়েল, প্রায় সব সংযোগ ছিন্ন গাজায়

আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ।

সব সংযোগ ছিন্ন করে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা। বোমা ফেলা হয়েছে শুক্রবার রাতেও। ইজরায়েলের সেনার দাবি গাজার মাটিতে আগ্রাসনের মাত্রাও বাড়ানো হচ্ছে ধাপে ধাপে। 

শনিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিপুল সংখ্যাধিক্যে সংঘর্ষবিরতির পক্ষে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। গাজায় অমানবিক যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল, প্রস্তাবে কার্যত তা স্বীকৃত হয়েছে। আন্তর্জাতিক জমমতকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ চেহারা দেওয়ার ঘঝোষণা করছে ইজরায়েলের সেনা। আগ্রাসনে সমর্থন দিচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি মিত্র দেশ। যার মাথা আমেরিকা। 

রাত হলেই গাজার আকাশে সমানে আগুনের ঝলক দেখা যাচ্ছে। প্যালেস্তাইনের টেলিকম পরিষেবাদাতা সংস্থা ‘প্যালটেল’ জানিয়েছে যে ইন্টারনেট, সেলুলার এবং ল্যান্ডলাইন পরিষেবা একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে অবিরাম বোমাবর্ষণ। সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘আল জাজিরা’ জানাচ্ছে কেবল স্যাটেলাইট ফোনে কোনও কোনও সংবাদদাতা খবর পাঠাতে পারছেন। 

বিপুল ধ্বংস এবং গণহত্যার ছবি বা খবর সঙ্গে সঙ্গে যাতে বাইরে না আসে তার জন্য সংযোগ ছিন্ন করেছে ইজরায়েল, এই মর্মে ক্ষোভ জানাচ্ছে বিশ্ব। প্যালেস্তাইনের এই অংশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকেজো করে দিয়েছে ইজরায়েল। হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করার মতো অবস্থঅ হয়ে গিয়েছে। তার ওপর হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেও একাধিক হাসপাতাল সংলগ্ন অঞ্চলে বোমা ফেলছে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক ত্রাণ বিভাগের সংশ্লিষ্ট অধিকর্তা লিন হ্যাস্টিং টুইটারে জানিয়েছেন ফোন এবং ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ায় ত্রাণের কাজেও মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। গাজার বাসিন্দারা অ্যাম্বুল্যান্স ডাকতেও পারছেন না। 

সাংবাদিকদের মঞ্চ ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছে যে গাজার বাস্তবতা জানার ছোট্ট জানালা খোলা ছিল। সেটিও এখন বন্ধ হয়ে গেল বিশ্ববাসীর কাছে। 

ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, সেনা জমিতে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। যুদ্ধের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পর্ব শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের কাছে এই যুদ্ধের আসল লক্ষ্য গাজার জমির দখল নেওয়া। 

তবে ইজরায়েলের সেনা এখনও বিপুল সংখ্যায় গাজায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছে। সংবাদসংস্থা এপি জানাচ্ছে সীমান্তে সজ্জা রয়েছে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ির।  

Comments :0

Login to leave a comment