পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা শাখার আহ্বানে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে রাজ্য সরকারের প্রি-পেইড স্মার্ট মিটারিং ব্যবস্থা চালুর বিরোধিতায় মঙ্গলবার বিক্ষোভ হয় জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দপ্তরে।
স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পারিবারিক পেনশন প্রাপকরা যোগ দেন। বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি সুভাষ বিশ্বাস। স্মারকলিপি দেন জেলার যুগ্ম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ রায়, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজদীপ দত্ত।
বক্তারা বলেন, স্মার্ট মিটারিং ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই কর্পোরেটের স্বার্থে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পণ্যে পরিণত করতে চাইছে বলে জানান। প্রকল্পের ব্যয় গ্রাহকদের উপর চাপানো হবে। পুরনো ভালো মিটারগুলিও বাতিল হবে। স্মার্ট মিটার বসানোর মধ্যে দিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বোঝা চাপানো হবে রাজ্যের গ্রাহকদের উপর।
চালু ব্যবস্থায় তিন মাস পর পর মিটার রিডিং হয়। ১৫ দিন সময় পাওয়া যায় বিল মেটানোর জন্য। মাসে ১০টাকা হারে মিটার রেন্ট দিতে হয়।
কিন্তু ৮-১০ হাজার টাকা দামের স্মার্ট মিটারের দাম বাবদ প্রতি মাসে ৮০-১০০টাকা হারে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। মোবাইল ফোনের মতো রিচার্জ করেই পরিষেবা নিতে হবে। জমা টাকা শেষ হলেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। দিনের যে সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকবে, তখন ইউনিটের মূল্য ও বেড়ে যাবে। এছাড়া পারস্পরিক ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকবে না। বিদ্যুতের মাশুল বেসরকারি সংস্থাই ঠিক করবে। মিটার রিডিং, বিলিং এবং বিভাগের অন্যান্য কাজে যুক্ত লক্ষ লক্ষ বিদ্যুৎ কর্মীর চিরতরে কাজ চলে যাবে। কৃষক, শ্রমিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, প্রান্তিক মানুষ সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হবেন।
সব অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয় প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
Electric Smart Meter
স্মার্ট মিটারে মাশুল ঠিক করবে বেসরকারি সংস্থা, প্রতিবাদ জলপাইগুড়িতে

×
Comments :0