‘অভয়া’-র বিচারের দাবিতে লড়াই ফের জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দিল্লিতে বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামবেন প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার এ বছরের শেষ দিনে ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা ডা: উৎপল ব্যানার্জি।
চিকিৎসক আন্দোলনের আরেক নেতা ডা: সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছন, ’’নতুন বছরে এই আন্দোলনকে কলকাতার রাজপথ থেকে গ্রামের আলপথে ছড়িয়ে দেওয়াই হবে লক্ষ্য।‘‘
এদিনই চলতি পর্বে ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে বিচারের দাবিতে অবস্থান-ধরনা শেষ হয়েছে রাত ৯টায়। হাইকোর্টের রায় মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস‘ এবং নাগরিকদের ‘অভয়া মঞ্চ’। আন্দোলন আটকে দিতে পুলিশ তৎপর ছিল গোড়া থেকেই। অবস্থানের অণুমতি চেয়ে হাইকোর্টে যান প্রতিবাদীরা। হাইকোর্টের অনুমতিতে অবস্থান। ফের এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ২জানুয়ারি।
বর্ষশেষের রাতেও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদীরা জড়ো হয়েছিলেন ধর্মতলায়। স্লোগান উঠেছে, ‘সেটিং ছেড়ে বিচার কর, আরজি করের মাথা ধর’। এদিন রাত ৯টার কিছু আগে সংক্ষিপ্ত মশাল মিছিল হয় রাজপথে। মঞ্চের কাছে চলতে থাকে স্লোগান। আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তদন্ত আড়ালে একদিকে মরিয়া থেকেছে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসন। আরেকদিকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই চার্জশিট জমা না দেওয়ায় জামিন পেয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
প্রতিবাদীদের দাবি, খুনের পাশাপাশি খুনের তথ্য লুকানোর জন্য দায়ী যারা, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সিবিআই জানিয়েছিল যে অপরাধের ঘটনাস্থল বদলানো হয়েছে। খুন অন্য জায়গায় করে দেহ হাসপাতালের সেমিনার রুমে রাখার অনুমান রয়েছে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্সেজ ল্যাবরেটরির রিপোর্টে। তবু সিবিআই প্রমাণ লোপাটে দায়ীদের ধরতে নিষ্ক্রিয় কেন, এই প্রশ্নে সরগরম থেকেছে অবস্থান মঞ্চ।
উৎপল ব্যানার্জি বলেছেন, ‘‘দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও আন্দোলন হবে নতুন মাত্রায়। সিবিআই বলছে সন্দীপ ঘোষদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। আমরা চার্জশিটের অনুমতির দাবি জানিয়ে ই-মেল পাঠিয়েছিলাম রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্যের জবাব পাওয়া যায়নি। আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা আজ ৯টায় এই পর্বে অবস্থানের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। কিন্তু রাজ্যে তো বটেই, দেশেও হবে আন্দোলন।’’
Comments :0