জানা অজানা — নতুনপাতা - বর্ষ ৩
প্রথম চা আবিষ্কারক
তপন কুমার বৈরাগ্য
পৃথিবীর যুগান্তকারী আবিষ্কার চা। চা আজ আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় পানীয় । চায়ের পর কফির স্থান। চা আমাদের ক্লান্তি দূর করে।চা পানে আমরা নতুন উদ্যম পাই। চীনের লোককাহিনী অনুসারে চীন সম্রাট শেন নুং আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে চীনে চা আবিষ্কার করেছিলেন।কিন্তু এর সত্যতা বিষয়ে
সন্দেহ আছে। চা আর্দ্র জলবায়ু ও আম্লিক মাটিকে জন্মায়। রবার্ট ব্রুস ছিলেন একজন স্কটিশ অভিযাত্রী । তিনি অধিকাংশ দেশের বন জঙ্গল ভ্রমণ করে ভারতের আসামের জঙ্গলে আসেন।যেটা ছিলো আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার চাবুয়া জেলায়। এখানে ছিল গভীর বন।এই অঞ্চলে তখন আসামের বেশ কিছু
উপজাতির লোক বাস করতো। রবার্ট ব্রুসের তিনজন সঙ্গী ছিলেন।তবুও তিনি ছিলেন বেশ বুদ্ধিমান।তিনি দেখলেন এই বনে প্রবেশ করতে হলে এখানকার উপজাতিদের সাহায্য নিতে হবে। চারজন উপজাতিদের সঙ্গে নিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলো খাবারদাবার সহ জ্বালানি ইত্যাদি। তারা আস্তে আস্তে
গভীর বনে প্রবেশ করলো।রবার্ট ব্রুস একসময়খুব ক্লান্তি অনুভব করলেন।তিনি একজায়গায় বসে পড়লেন। তিনি বললেন-আমি আর চলতে পারছি না।আমি দারুণ ভাবে ক্লান্ত।একজন উপজাতি লোক কাছেই কিছু গাছ থেকে পাতা তুলে এনে সেই পাতা সিদ্ধ করে রবার্ট ব্রুসকে খাওয়ালো।কি আশ্চর্য ! কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি
নতুন উদ্যম ফিরে পেলেন।তিনি উপজাতিদের কাছ থেকে গাছটা চিনে নিলেন। পরে তিনি এই গাছটার নাম দিলেন tea. বাংলাতে যাকে বলা হয় চা। এটা ছিলো ১৮২৩খ্রিস্টাব্দ। এর কিছুদিন পরে তিনি ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকায় একটা চায়ের বাগান তৈরি করেন।যেখানে এই অঞ্চলের বহু উপজাতিদের
তিনি কাজে নিয়েছিলেন।কারণ তিনি এই উপজাতিদের জন্যই চা আবিষ্কার করেছিলেন।উপজাতিরা তাকে ঈশ্বর বলে মনে করতেন।চা আবিষ্কারক হিসাবে সারা পৃথিবীতে তার নাম ছড়িয়ে পড়ল।
Comments :0