EC Rahul

প্রশ্ন বিহারের গ্রামেও, কমিশনের হুমকি নোটিশ রাহুলকেই!

জাতীয়

রোহতাসে রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদব।

ভোটার তালিকায় কারও নাম দু’জায়গায় থাকতে পারে। তবে দু’বার ভোট তিনি দিচ্ছেন না।
রবিবার এমনই উদ্ভট যুক্তি শুনিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ তোলার জন্য লোকসভা দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে সাত দিনের নোটিশও পাঠিয়েছেন। 
এর মধ্যেই কংগ্রেস সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে প্রশ্ন তুলে ভিডিও পোস্ট করেছে। 
বিহারে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ক্যামেরার সামনে গ্রামবাসীরা বলেছেন যে কোনও কোনও বুথে ২০ জন মৃত ব্যক্তির নাম পর্যন্ত আছে। অথচ জীবিতেরা নাম খুঁজে পাচ্ছেন না এসআইআর’র পর তৈরি খসড়া তালিকায়। আর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলছেন, সব স্তরে সব বুথে যুক্তরা সই করে তালিকা তৈরি করেছে। 
এসআইআর’র প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই রাহুল কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের তথ্য দিয়ে ভোটচুরির অভিযোগ তুলেছিলেন। একজনের বিভিন্ন জায়গায় নাম থাকার ত্রুটি স্বীকার না করে পালটা দোষ চাপানোর রাস্তা নিয়েছে কমিশন।
রবিবার কমিশনের চিঠিতে রাহুলকে বলা হয়েছে, ভোটচুরির অভিযোগ হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। না হলে প্রকাশ্যে স্বীকার করতে হবে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ নেই। 
বামপন্থীরা মোদী জমানায় কমিশনের একাধিক কার্যকলাপে বারবার প্রশ্ন তুলছে। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির ভোটার তালিকায় পাঁচ মাসের মধ্যে ভোটদাতার তালিকা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। তার আগে লোকসভা ভোটে বুথ ভিত্তিক ভোটদানের সংখ্যা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে অস্বীকার করছিল কমিশন। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর প্রকাশিত ভোটদানের হার এবং চূড়ান্ত হারের মধ্যেও ফারাক অস্বাভাবিক দেখা যাচ্ছিল। আইনে সংশোধনী এনে ভোটদানের সময় সিসিটিভি’র ভিডিও প্রকাশ এবং সংরক্ষণের আওতা সীমায়িত করা হয়। বিহারে এসআইআর করার সময় রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হয়নি। অথচ ভোটার তালিকা সংশোধন রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়েই হয়। 
বিহারে সকলকে ফর্ম ভরতে বলা হলেও জমা দেওয়ার পর রসিদ না পাওয়ার অভিযোগ বিহারের গ্রামে গ্রামে। বিএলও-দের দিয়ে ফর্ম ভরিয়ে নেওয়ার ঘটনা সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নামে এফআইআর দায়ের করেছে কমিশন। 
বিহারের সাসারামে ভোটাধিকার যাত্রা শুরু করে রাহুল বলেছেন, ‘‘অভিযোগ জানানোয় আমাকে হলফনামা দিতে বলা হচ্ছে। অথচ কমিশনের নথির ভিত্তিতেই তো বিপুল গরমিল দেখিয়েছি। তা ছাড়া বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুললে তো কমিশন হলফনামা জমা দিতে বলে না!’’ 
সাসারামে জনসভায় ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আরজেডি নেতা এবং বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব সাসারাম এবং সন্ধ্যায় রোহতাসেও রাহুলের সঙ্গে যাত্রায় অংশ নেন।

Comments :0

Login to leave a comment