দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
তৃণমূল-বিজেপি মিলে বাংলার মানুষকে এপ্রিল ফুল করেছে। গণতন্ত্র সংবিধান ও খেটে খাওয়া মানুষকে বাঁচাতে বামপন্থীদের হাত শক্তিশালী করুন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভায় একথা বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোডের মাদ্রাসা ময়দানে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত ও কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের সমর্থনে বিরাট নির্বাচনী জনসভা হয় বামফ্রন্ট ও জাতীয় কংগ্রেসের ডাকে।
জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে মিছিল হয়।
সভায় সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘যারা দেশকে ভালোবাসেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বিজেপি এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন না। কারণ, কেন্দ্রে যে শক্তি ক্ষমতায় আছে তারা যদি ফের ভোটে জেতে, তাহলে এই ভোট শেষ ভোট।’’
তিনি বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে প্রতিবছর স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হত। এখন পুলিশেও নিয়োগ বন্ধ। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে পুলিশ চলছে। তাদের দিয়ে সমস্ত অপকর্ম করাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। তারা টাকা তুলছে আর কালীঘাটে সেই টাকা পৌঁছচ্ছে।’’
তৃণমূল বিজেপির বোঝাপড়া নিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘ভোট আসলেই ইডি সিবিআই’র ছোটাছুটি বেড়ে যায়। কিন্তু দিনের শেষে এরা কিছুই করতে পারে না। কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর এরা দিল্লি পাঠালো, দিল্লি থেকে আর রিপোর্ট আসে না কারণ তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সেটিং আছে। পুলিশ পুলিশ লড়াইয়ের আড়ালে তৃণমূল এবং বিজেপি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে রেখেছে।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূল বিজেপি দুই দলই মানুষকে ভাগ করতে চায়। বাংলা নদীমাতৃক দেশ এখানে সারি গান, কীর্তন, বাউল গান সকলে শুনতে ভালোবাসে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ধর্ম নিয়ে হানাহানি কোনদিন এরাজ্যের রাজনীতির মূল ইস্যু ছিলনা। ধর্ম আর রাজনীতিকে এক করে দিতে চাইছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল। কারণ রুটি-রুটির সংগ্রাম কে ভুলিয়ে দিতে পারলে মোদি আর দিদির সুবিধে হয়।’’
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেবরাজ বর্মন, বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী তথা সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখার্জি, আরএসপির রাজ্য নেতা অশোক ঘোষ, জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিয়াউল আলম, জীবেশ সরকার, জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব অসীম তরফদার প্রমুখ।
Comments :0