ভ্রমণ — মুক্তধারা, বর্ষ ৩
আমতা আমতা করে হামতা...
অভীক চ্যাটার্জী
ভগ্নমনোরথ আমি আর প্রতীক চিন্তা শুরু করলাম, কি করা যায়! আমাদের এ যাত্রা আগেও পণ্ড হয়েছে বিভিন্ন কারণে। কখনও যুদ্ধ লেগেছে দেশে, আর এখন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। আমরা কি পারব না যেতে?এইসব ভাবতে ভাবতে আমি আর প্রতীক ফিরে এলাম মানলির মল রোডে।
একটা তিব্বতী রেস্তোরাঁতে ঢুকে যাহোক কিছু খেয়ে মল রোডেই ঘুরলাম কিছুক্ষণ। তারপর পরিবর্তিত পরিস্থিতির হিসাবে অন্য কোথাও যাওয়া যায় কিনা সেই পরিকল্পনা করতে বসলাম। যদিও এতে শাপে বরই হয়েছিল, পরে বুঝেছিলাম। যায় হোক, আমরা প্ল্যান করলাম কাল ট্রেক যখন শুরু হচ্ছে না, তখন মানলীর আরও কিছু জায়গা ঘুরে নেওয়া যাক। আমরা ঠিক করলাম সোলাঙ্গ ভ্যালী হয়ে অটল টানেল দেখে আসব।
পরদিন সকালে খাওয়াদাওয়া করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম আমাদের নতুন যাত্রাপথে।এবারের বাহন একটি ভাড়ার স্কুটার। পাহাড়ের পথে যদিও উচ্চ শক্তিসম্পন্ন মোটর সাইকেলই প্রস্তাবিত, কিন্তু ওই যে, নিয়ম বিরুদ্ধ কাজেই আমাদের আনন্দ। তাই স্কুটার নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম আমরা অটল টানেলের উদ্দেশ্যে।
বর্ষায় হিমালয় সেজে উঠেছে নতুন রূপে। এ রূপ একাধারে আমাদের বড় অচেনা, তবুও যেন বড় কাছের। এই মেঘের ডাকেই তো বার বার বেরিয়ে পড়া, আপনার ছোট্ট সন্তানটি যে ভাবে আপনার গলা জড়িয়ে ধরে, আমিও বার বার হিমালয়ের আদিম অকৃত্রিমতাকে জড়িয়ে নিই আমার বাহুবন্ধনে। আর সেও আমায় কাছে টেনে নেয় পরম মমতায়। বর্ষায় হিমালয় সেজে উঠেছে নতুন রূপে। এ রূপ একাধারে আমাদের বড় অচেনা, তবুও যেন বড় কাছের। এই মেঘের ডাকেই তো বার বার বেরিয়ে পড়া, আপনার ছোট্ট সন্তানটি যে ভাবে আপনার গলা জড়িয়ে ধরে, আমিও বার বার হিমালয়ের আদিম অকৃত্রিমতাকে জড়িয়ে নিই আমার বাহুবন্ধনে। আর সেও আমায় কাছে টেনে নেয় পরম মমতায়।
চলবে
Comments :0