স্বাস্থ্য ও জীবনবিমায় কর কমানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখল জিএসটি পরিষদ। বিমায় পণ্য ও পরিষেবা কর হ্রাস করার দাবি সবস্তরেই ওঠায় বিষয়টি আলোচনায় এনেছে পরিষদ।
জিএসটি পরিষদের ৫৫তম বৈঠক শেষ হয়েছে শনিবার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এই পরিষদের সদস্য। জানা গিয়েছে, কোনো কোনও রাজ্য বিমায় কর কমানোর বিষয়ে আরও বিশদে আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছে। কর কমলে রাজস্ব সংগ্রহ কমবে। রাজ্যের আয় কমে যাবে, এমন শঙ্কাও রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে, ভারতে এমন নাগরিক ৫৫ কোটি। আন্তর্জাতিক স্তরে উত্থানশীল অর্থনীতি হিসেবে এই হার নিচের দিকেই। স্বাস্থ্যবিমা করতে বাধ্য হন বড় অংশ বিপুল বাণিজ্যিকীকরণের জন্য। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পরিকাঠামো প্রয়োজনের তুলনায় কম। বেসরকারি ক্ষেত্রে বিমা ছাড়া চিকিৎসা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারেরও নাগালের বাইরে। বিমা থাকলেও সমস্যা যদিও কমছে না। কারণ কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেড়ে চলেছে খরচ। এর ওপর বিমায় ১৮ শতাংশ পণ্য ও পরিষেবা কর রয়েছে।
জিএসটি পরিষদে বিমা সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর প্রধান সম্রাট চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সিদ্ধান্তের সুপারিশ করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তবে আরও আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছে একাধিক রাজ্য।’’
বিমার কোন ধরনে ছাড় হবে তা নিয়ে একমত হতে পারেনি সব রাজ্য। গোষ্ঠী বিমা, ব্যক্তিগত বিমা এবং প্রবীণ নাগরিকদের বিমা আলাদা করে বিবেচনার প্রস্তাব রয়েছে। একাংশের মত প্রবীণ নাগরিকদের জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি’র হার কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা উচিত। আবার প্রবীণদের স্বাস্থ্যবিমায় ছাড় দিয়ে জীবনবিমায় সব অংশের কর কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে মন্ত্রীগোষ্ঠীতে।
জানুয়ারিতে রয়েছে জিএসটি পরিষদের পরের বৈঠক। তার আগে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় কাটেনি শনিবার।
GST Insurance
স্বাস্থ্যবিমায় কর কমানোর সিদ্ধান্ত ঝুলেই রইল জিএসটি বৈঠকে
×
Comments :0