দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
নতুন করে কাউনের চালের চাষ শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। এক সময়ে খুবই প্রচলিত এই দানাশস্য ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছিল। এই চাষ ফিরিয়ে আনলেন জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ ধুপঝোড়ার কৃষক এলাকার গরুমারা ফার্মার্স ক্লাবে।
এক সময় বাংলার মানুষজন খিদে মেটাতে কাউন চালের ভাত খেয়েই দিন কাটাতেন। পুরানো দিনে হরেক রকমের পিঠা, ক্ষীর, পায়েসসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে।
কাউন চাল দেখতে অনেকটা পোস্তর দানার মতো। পুষ্টিগুণও রয়েছে ভাল। রক্তে মিশে থাকা খারাপ কোলেস্টোলের মাত্রা কমায়, কাউনে থাকা পটাশিয়াম শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি।
৮০’র দশকের পর উন্নত কৃষি প্রযুক্তির কল্যাণে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হতে থাকলে ক্রমশ কমতে কমতে প্রায় হারিয়েই গিয়েছে কাউনের চালের আবাদ। জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ ধুপঝোড়ার কৃষক এলাকার গরুমারা ফার্মার্স ক্লাবের উৎসাহে এবার প্রথম কাউনে চালের চাষ করে খুশি কৃষকরা, জানাচ্ছেন ক্লাবের সভাপতি লিটন রায়।
এই কাউন চাষে কোনও রাসায়নিক সার ব্যবহার না করেও ভালো ফলন সম্ভব। ভোরে খেতে উড়ে আসে পাখির ঝাঁক। কৃষকরা ভালো দামও পাচ্ছেন। এই চালের প্রায় ২০০ টাকা কেজি দর উঠেছে বাজারে।
Comments :0