নতুন ভোটার হিসেবে হাজার হাজার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এই ‘নতুন ভোটারদের’ বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছর।
কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপির এমন ‘একশো শতাংশ’ প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গেই ফের নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল বলেছেন, ‘‘৯০ শতাংশ নয়, একশো শতাংশ প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনেই এমন ভোট কারচুপি হয়েছে কর্নাটকের এই কেন্দ্রে।’’
রাহুল অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে সহায়তা করছে নির্বাচন কমিশনে। কেন্দ্রের সরকারের আসীন বিজেপি’র পরিকল্পনাই হাতে কলমে প্রয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনকে উদ্দেশ্য করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘পাশ কাটিয়ে বেরনোর উপায় নেই। একশো শতাংশ প্রমাণ নিয়ে আমরাই আসছি আপনাদের কাছে।’’
বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের নামে বেছে বেছে নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দল। সংসদের বাদল অধিবেশনে তা নিয়ে শোরগোলও চলছে। বৃহস্পতিবারও সংসদ চত্বরে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা।
এদিকে রাহুলের বক্তব্যে কমিশনের ‘সূত্র’ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা। এখন কমিশনের খবরে বিবৃতির বদলে বেশিরভাগই ‘সূত্র’-র বক্তব্য থাকে! এদিন বলা হয়েছে, নির্বাচনের ৪৫ দিনের মধ্যে কারচুপির অভিযোগ দায়ের করা যায়। তা করা থাকলে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। না করা হলে এখন বলে কী লাভ! কারণ ভোটের ৪৫ দিনের মধ্যে দায়ের করতে হয় অভিযোগ।
কংগ্রেসের বক্তব্য, সময়সীমা পার হলেও কারচুপির প্রমাণ হাতেনাতে দাখিল করলে বক্তব্য জানানোর নৈতিক এবং সাংবিধানিক দায় নির্বাচন কমিশনের। এভাবেই ভোটদাতা আচমকা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় দিল্লি, মহারাষ্ট্রেও জয়ী হয়েছে বিজেপি। কম্পিউটার যাচাই করতে পারে এমন তালিকা কমিশনের কাছে চাওয়া হলেও দেয়নি।
রাহুল বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিজের কাজ করছে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি আসনের প্রমাণ বের করতে পেরেছি। আসনের পর আসনে এই কারচুপি হয়েছে।’’
রাহুল বলেন, ‘‘কমিশন যদি মনে করে এসব করে পার পেয়ে যাবে, আধিকারিকরা যদি মনে করেন ছাড় মিলে যাবে, তা’হলে ভুল ভাবছেন।’’
Rahul EC
ভোট কারচুপির ১০০% প্রমাণের দাবি, রাহুলের নিশানায় কমিশন

×
Comments :0