JOURNALIST KILLING GAZA

তথ্য চাপতে সাংবাদিকদের আক্রমণ ইজরায়েলের সেনার

আন্তর্জাতিক

সাংবাদিক ওয়েইল দাহুদ আগত ইজরায়েলী সেনার গুলিতে। তার কিছুক্ষণ আগেও দাহুদ ছিলেন এক শিশুর সঙ্গে।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল গরিষ্ঠতায় পাশ হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। ইজরায়েল বিশ্ব জনমতের তোয়াক্কা করতে নারাজই রয়েছে। গাজার দক্ষিণ অংশে আক্রমণ তীব্র করতে দখলদার বাহিনী। আহত হয়েছেন কাতারের ‘আল জাজিরা’ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের দুই সাংবাদিক। 
শুক্রবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তাঁর দাবি, আমেরিকা নিরন্তর চেষ্টা চালচ্ছে যাতে ইজরায়েলের আক্রমণ হামাস’র শীর্ষস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধেই সীমিত থাকে। নাগরিকরা যাতে নির্বিচারে হামলার শিকার না হন।
সুলিভান বলেছেন, ‘‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে দু’দিন কথা বলে বোঝা গিয়েছে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সচেষ্ট ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিধি মেনে যুদ্ধ চালাতে চায়। নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি সীমায়িত করার জন্য চেষ্টা চালচ্ছে আমেরিকা।’’
ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। বিপুল অঙ্কের মার্কিন আর্থিক সহায়তাও পায় ইজরায়েল। সুলিভান যখন এমন দাবি তুলছেন তখনই গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে খান ইউনিসে মারাত্মক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলের বাহিনী। সাধারণ বসতি বা হামাসের মধ্যে বাছবিচারের কোনও চেষ্টাই হয়নি বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। 
খান ইউনিসে ইজরায়েলের হামলায় আহত হয়েছে দুই সাংবাদিক ওয়েইল দাহুদ এবং সামির আবুদাকা। একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত অক্টোবরে দাহুদের পরিজনবর্গ মারা যান ইজরায়েলের বোমায়। সাংবাদিকরা বলেছেন, ‘‘নির্বিচারে নারী এবং শিদের হত্যা করছে ইজরায়েলের বাহিনী। সেই ছবি বা তথ্য দুনিয়ার কাছে চেপে দিতে বেছে বেছে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। যতই চেষ্টা করুক ইজরায়েল, এই অন্যায় লুকাতে পারবে না।’’ 
এর মধ্যেই পাশের দেশ লেবাননে বিমান থেকে লিফলেট ফেলছে ইজরায়েলের সেনা। নাগরিকদের বলা হচ্ছে, কোনোভাবে হিজবুল্লাকে সহায়তা না করার জন্য। বিভিন্ন অংশ মনে করছে, আসলে লেবাননে নির্বিচারে হামলা চালানোর ফন্দি করছে ইজরায়েল। সাধারণ মানুষ হত্যা করার অজুহাত আগে থেকেই সাজিয়ে রাখছে। বলা হবে, হিজবুল্লা নাগরিকদের আড়াল নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। ঠিক যে অজুহাতে হামলা চলছে গাজা এবং প্যালেস্তাইনের সর্বত্র বসতি এলাকায়। 
আমেরিকার সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন এর মধ্যেই এক ছবি সামনে এনেছে। ক্যামেরায় খোলাখুলি ইজরায়েলের সেনারা পুড়িয়ে ফেলছে খাবার। বলছে, গাজায় এই বাহিনী বলছে এলাকাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। যে গাজায় খাদ্যের চরম সঙ্কটের তথ্য দিচ্ছে রাষ্ট্রসংঘই।

 

Comments :0

Login to leave a comment