পূজার আগেই উদ্বোধন, এ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা যে একেবারে দশ দিন আগে তারও বোধহয় সূচনা হলো বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু যে পূজোর উদ্বোধন তিনি করছেন তার কোন প্যান্ডেলই হলো না অথচ উদ্বোধন। এ দৃশ্য কিন্তু বিরল।
বাঙালির বা বাংলা ঐতিহ্য অনেক আগেই ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল তৃণমূল। শুধুমাত্র অনুদান আর ভাতার রাজনীতিতে সাধারণ মানুষকে ভুলিয়ে রাখার যে সফল প্রচেষ্টা আর তাতে সাধারণ মানুষ ও তাদের পরম্পরা এবং ঐতিহ্য বোধহয় এক প্রকার ভুলতে বসেছে। তার কারণ একটি বিরল দৃশ্যর সাক্ষী থাকলো পূর্ব মেদিনীপুর। মেচেদার আরাধ্যা ক্লাবের পূজার প্যান্ডেলই নেই অথচ ফ্লেক্সেই পূজার উদ্বোধন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
যেসব পূজা উদ্বোধন করা হল এদিন তার বেশিরভাগ প্রতিমা অন্য প্যান্ডেলে ভাড়া করা এবং কয়েকটি প্যান্ডেলে প্রতিমাই নেই। প্যান্ডেল কোনটাই প্রস্তুত হয়নি। মেচেদার আরাধ্যা ছাড়া কাঁথির ইয়ুথ গিল্ড, কাঁথি ক্লাব চৌরঙ্গী সহ তিনটি ক্লাবের অসমাপ্ত কাজ। এদিনের এমন ঘটনায় জেলাবাসী রীতিমত বিক্ষুব্ধ। মেচেদা এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন আমাদের স্বাভাবিক পরম্পরায় আঘাত করা হচ্ছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কাঁথির বাসিন্দা শশাঙ্ক গিরি জানান "এমন দিন দেখতে হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। ছোটবেলা থেকে যেভাবে শারদ উৎসব দেখতে অভ্যস্ত এবং যা আমাদের ঐতিহ্য তা এই সরকার ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে শারদ উৎসবের দেবিপক্ষ, মহালয়া এইসব দিনগুলি ভুলিয়ে দেওয়ার একটা সুপ্ত পরিকল্পনা চলছে। যা সত্যিই ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি।"
তমলুকের বাসিন্দা আঞ্চলিক ইতিহাসের গবেষক সত্যজিৎ মাইতি জানান "একটি সরকারের দায়িত্ব ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে সংরক্ষণ করা। সংস্কার প্রয়োজন কিন্তু বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যা করছেন তা ধ্বংসাত্বক। একটি মিথ্যা ও ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে।"
Comments :0