রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পদ ছাড়তে হলো মানস চক্রবর্তীকে। তাঁর এই পদে নিয়োগ এবং আসীন থাকাকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছিল চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ। হাইকোর্টও শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার রেজিস্ট্রারের পদ ছেড়ে দেওয়ার চিঠি দিয়েছেন মানস চক্রবর্তী।
চিকিৎসক আন্দোলনের নেতৃত্ব বারবারই অভিযোগ জানাচ্ছেন গোটা মেডিক্যাল কাউন্সিলের দুর্নীতি নিয়েই। সেই সঙ্গে রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তী কেন, তুলেছেন সে অভিযোগও। বক্তব্য হলো, অবৈধ ভাবে কী করে তিনি রেজিস্ট্রার পদে থাকতে পারেন। এই মর্মে একাধিকবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স।
এই মানস চক্রবর্তীই আবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের হয়ে আরজি কর আন্দোলনে সামনের সারিতে তাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করছিলেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি হয় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে। আন্দোলনরত চিকিৎসক মানস গুমটা, সুবর্ণ গোস্বামী, উৎপল ব্যানার্জি এবং রঞ্জন ভট্টাচার্যের নামে এফআইআর করা হয়।
২০১৯’র ১ নভেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের পদে নিয়োগ করা হয় মানস চক্রবর্তীকে। তারপর বারবার তাঁকেই নিয়োগ করা হয়। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় নিয়োগ করেন তাঁকে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভূমিকায় বারবারই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন। এদিন হাইকোর্টও বলেছে যে অবসরের বয়স পেরনোর পর পদে থাকা যায় না। ২০ নভেম্বর স্বাস্থ্যভবন তাঁকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও পদ ছাড়েননি তিনি।
Medical Council Registrar
পদত্যাগ করতে হলো রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে
×
Comments :0