কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ যাঁদের বেশি সন্তান রয়েছে, তাঁদের মধ্যে দেশের সম্পদ বণ্টন করে দেওয়া হবে বলে ফের মেরুকরণের উসকানি নরেন্দ্র মোদির। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা।
রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পদ পুনর্বণ্টন সমীক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন এবং বলেন যে দল ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ ‘‘অনুপ্রবেশকারী’’ এবং ‘‘যাদের বেশি সন্তান রয়েছে’’ তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
কংগ্রেস পাল্টা আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অভিযোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি প্রত্যাখ্যান করে তারা বলেছে, তাদের ইশতেহারে এ ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যু থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন।
‘‘প্রথম দফার ভোটে হতাশার পর নরেন্দ্র মোদীর মিথ্যাচারের মাত্রা এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে ভয় পেয়ে তিনি এখন বিষয়গুলি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছেন,’’ মন্তব্য রাহুলের।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে ‘‘বিষাক্ত ভাষা’’ ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন এবং ২০১১ সালে সর্বশেষ জনগণনা কেন ২০২১ সালে করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিষাক্ত ভাষায় সারা বিশ্ব নিয়ে কথা বলেন। তাকে একটি সহজ প্রশ্নের উত্তরও দিতে হবে- ১৯৫১ সাল থেকে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের জনসংখ্যার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করে। এটি ২০২১ সালে পরিচালিত হওয়া উচিত ছিল তবে আজ পর্যন্ত করা হয়নি’।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নীরব কেন? এটা বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধানকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র’। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
‘‘আমি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেন কোনো ব্যবস্থা নেননি? আপনার উচিত ছিল বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সমালোচনা করে নোটিশ পাঠানো এবং দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া। এটা দেশ বা নির্বাচন কমিশনের জন্য ভালো নয়,’’ মন্তব্য তাঁর।
Comments :0