রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে। ৮ জুলাই ভোট গ্রহণ। মনোনয়নের কাজ শেষ হয়ে গেছে। স্কুটনি প্রকৃয়া চলছে। নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা থেকে ভয় দেখানো অপহরণের খবর সামনে আসছে। নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে বেলাগাম সন্ত্রসের সৃষ্টি করছে শাসকদল তৃণমূল। মা সিপিআই(এম) দলের প্রার্থী হয়েছে সেই অপরাধে ছেলেকে অপহরণের ঘটনা ঘটলো কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়!
পরিবারের সদস্যদের সাহসিকতায় অবশেষে পুলিশ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে প্রার্থীর ছেলে তথা এসএফআই নেতা সাগর হোসেনকে।
সাগর উদ্ধার হয়ে ফিরে আসার পর সাংবাদিকদের বলেন, আমি ছাত্র পড়াতে একবাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানেই হাজির হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমায় অকথ্য গালিগালাজ করে তুলে নিয়ে যায় মাদ্রাসা চৌপথীর তৃণমূলের পার্টি অফিসে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তারা বলে, ২৩৭ নম্বর বুথে বিরোধী প্রার্থী থাকবে না, এটা আমরা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে কথা দিয়েছি। তোকে আটকে রেখে তোর বাবাকে বাধ্য করা হবে মায়ের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে। এরপর সাগরকে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সে জায়গা অপহরণ করে আটকে রাখার উপযুক্ত নয় বলে ফের তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় ওই ২৩৭ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী জাহানারা বিবির দেওরের বাড়িতে। সেখানেও সাগরকে মানসিক চাপ দিয়ে বাড়িতে ফোন করানোর চেষ্টা হয়।
এদিকে যে বাড়িতে পড়াতে গিয়ে ছেলে অপহৃত সেখান থেকেই সাগরের বাবা আসরাফ হোসেন পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ জানায়। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা লক্ষ্য রাখছিল সাগরকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা সাগরের বাবাকে সব ফোনে জানাতে থাকে। সাগরের বাবার কথা মত পুলিশ তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে সাগরকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দিলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করে নি।
সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় পেয়ে অপহরণের পথ বেছে নিয়েছে। শিতলকুচি, দিনহাটা, সহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। সব বাধা অতিক্রম করেই ভোটে লড়বে সিপিআই(এম) প্রার্থীরা’’।
Comments :0