SITHARAMAN LIVING STANDARDS

জীবনমানে লাফিয়ে বৃদ্ধি? প্রশ্ন সীতারামনের দাবিতে

জাতীয়

মাথাপিছু আয় দ্বিগুন করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জীবনমানে উন্নতির হার হবে চড়া। দেশে বৈষম্য, বেকারি এবং আয়ে সঙ্কট ঘিরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে এমনই দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
দিল্লিতে কৌটিল্য ইকনমিক কনক্লেভে শুক্রবার বক্তব্য রাখেন সীতারামন। তাঁর দাবি, ‘‘গত দশ বছরে অর্থনৈতিক এবং কাঠামোগত সংস্কার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ উন্নতির লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কোভিড সংক্রমণ এবং লকডাউন জনিত অর্থনৈতিক সঙ্কট ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে।’’ 
সীতারামন বলেছেন, ‘‘আগামী দশকগুলিতে সাধারণ মানুষের জীবনমানে চড়া হারে উন্নতি হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক বৈষম্যের সূচক দেখাচ্ছে যে আয় এবং সম্পদের ফারাক কমতে শুরু করেছে। অর্থনীতির পক্ষে তা ইতিবাচক।’’
লোকসভা নির্বাচনে অর্থনীতিতে বৈষম্য, বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ কয়েকটি শিল্পগোষ্ঠীর বিপুল সম্পদ বৃদ্ধি বারবার এসেছে বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারে। হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রবণতা সমালোচনার কেন্দ্রে থেকেছে।
তথ্য দেখাচ্ছে, মোট জাতীয় উৎপাদনে পঞ্চম হলেও মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ভারত বিশ্বে ১৩৬ তম দেশ। এক্ষেত্রে চলতি দামে মোট জাতীয় উৎপাদনের হিসেব করা হয়েছে। মাথাপিছু উৎপাদন যদিও অর্তনৈতিক বৈষম্যকে ধরতে পারে না। মোট উৎপাদনকে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয় কেবল। 
সীতারামন বলেছেন, ‘‘যুব জনসংখ্যার অনুপাত আগামী দু’দশকে বাড়বে। ফলে উৎপাদনশীলতা, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ বাড়বে।’’
যুব জনসংখ্যায় ভারত এগিয়ে থাকলেও কর্মহীনতার হার সবচেয়ে চড়া হয়েছে মোদী সরকারের দশ বছরে। বৈষম্য রোধে সীতারামনের দাবি ঘিরেও রয়েছে প্রশ্ন। কারণ বিশ্ব বৈষম্য প্রতিবেদন জানিয়েছে ভারতে ওপরতলার ১০ শতাংশের হাতে জাতীয় আয়ের ৫৭ শতাংশ। আর নিচের ৫০ শতাংশের হাতে রয়েছে ১৩ শতাংশ।

Comments :0

Login to leave a comment