Ambulance Strike

আজ ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা

রাজ্য

কর্তৃপক্ষের শোষণ-বঞ্চনা, অনৈতিকভাবে ছাঁটাই ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার ধর্মঘটে শামিল হতে চলেছেন ১০২ ও ১০৮ অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অব হেলথ প্রফেশনালস’ (সিআইটিইউ অনুমোদিত)-র নেতৃবৃন্দ। 
মানুষকে সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে তেলেঙ্গানার জেভিকে নামক এক এজেন্সির মাধ্যমে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগকারী এই সংস্থা নিয়োগের সময় মোটা টাকার ডোনেশন নিচ্ছে, যা অনৈতিক বলেই অভিমত এই ১০২ ও ১০৮অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। কর্মীদের আরও অভিযোগ, ডোনেশনের টাকা নিয়েও অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয় না, কাজ করেও মাসের পর মাস অনেকেই পাচ্ছেন না বেতন। এছাড়াও কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কিংবা সামান্য কারণে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। গত দু’বছর ধরে অনৈতিকভাবে ২৬জন কর্মীকে কাজ থেকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন কর্মচারীরা। 
প্রসঙ্গত, কাজের চূড়ান্ত আকালের এই সময়ে অনেকেই মোটা টাকার ডোনেশন দিয়ে রাজ্যের এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার কাজে যুক্ত হয়েছেন। রাজ্যের ২৩টি জেলায় এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। যাদের নেই কাজের নিরাপত্তা, যে সামান্য টাকা তাঁরা বেতন হিসাবে পান তাতে এই দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালানোই দায়। অথচ সরকারি পরিষেবার মতো কাজ তাদের করতে হচ্ছে। কাজের নেই কোনও সময়সীমা, নেই ওভারটাইমের মজুরিও! পাশাপাশি আছে কর্তৃপক্ষের নানা শোষণ বঞ্চনা। 
এনিয়ে এদিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোমেশ্বর মাইতি বলেন, আমরা জীবিকার প্রশ্নে নিদারুণ সমস্যা সঙ্কটের মধ্যে আছি। কাজের নিরাপত্তা নেই, অহরহ শোষণ ও ছাঁটাইয়ের হুমকি চলছে। দিনে ১০-১২ ঘণ্টার হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেও পাই না সম্মানজনক বেতন। তাই বাধ্য হয়ে বুধবার আমরা ধর্মঘটে শামিল হচ্ছি। সিআইটিইউ কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন চক্রবর্তী এদিন এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জীবনযন্ত্রণার কথা তুলে ধরে বলেছেন, তৃণমূলের আমলে এই রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীরা নানাভাবে শোষণবঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছেন। লুট, চুরি, রাহাজানির এই রাজ্যে ১০২ ও ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনা করে চলেছে নিয়োগকারী সংস্থা। এই বিষয়ে সরকারি নজরদারি তো নেই, উপরন্তু, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এই ‌এজেন্সির সঙ্গে যোগসাজশ করে গরিব এই কর্মীদের জীবন-জীবিকাকে নিদারুণ সঙ্কটাপন্ন করে তুলেছে। অবিলম্বে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাজে বহাল রাখা, বেতন বাড়ানো সহ জীবিকার প্রশ্নে তাঁদের দাবিগুলো মানতে হবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment