Post editorial

‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিপন্ন বিশ্ব

উত্তর সম্পাদকীয়​

দেবাশিস মিথিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বৈদেশিক সহায়তা কমানোর নীতি গ্রহণ করেছেন। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বৈদেশিক সাহায্যের একটি বড় অংশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে,  যা বিশ্বজুড়ে এক গভীর মানবিক সঙ্কট তৈরি করেছে।
বর্তমান মার্কিন প্রশাসন মনে করছে, এই বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচিগুলি তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং দেশের করদাতাদের অর্থ এতে অপচয় হচ্ছে। এই যুক্তিতেই ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-এর (ইউএসএআইডি) মতো সংস্থাকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটিকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, ইউএসএআইডি ৫,৩৪১টি বৈদেশিক সাহায্য প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। বাতিল হওয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, নাগরিক সমাজ, সংঘাত প্রশমন, সুশাসন, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি। বর্তমানে মাত্র ৮৯৮টি সাহায্য প্রকল্প চালু রয়েছে। বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণও বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমিয়ে মাত্র ৮.৩ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নকে প্রাধান্য না দিয়ে, বৈদেশিক সাহায্যকে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ব্যবহারের যে নীতি ট্রাম্প প্রশাসন নিয়েছে, তা দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার পথে হাঁটছে।
এই ব্যাপক তহবিল ছাঁটাইয়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্য ও স্বাস্থ্য খাতে। বন্ধ হতে চলেছে একাধিক জীবন রক্ষাকারী প্রকল্প। অর্থের অভাবে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলি আজ অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি উন্নয়নমূলক কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  
গরিব মানুষের খাদ্য সরবরাহে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’র (ফাও) ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংস্থাটি দরিদ্র চাষিদের কাছে বীজ, সার এবং অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ করে, যা তাঁদের ন্যূনতম খাদ্য উৎপাদনের সহায়ক। দুর্ভিক্ষের মতো চরম সঙ্কটে ফাও-এর জরুরি খাদ্য সাহায্য বহু মানুষের জীবন বাঁচায়। প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলির টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংস্থাটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি উন্নয়নের নীতি নির্ধারণে ফাও-এর মূল্যবান পরামর্শ দরিদ্র মানুষের খাদ্যে প্রবেশাধিকারকে উন্নত করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তহবিল বন্ধ করে দেওয়ায় ফাও-এর ‘খাদ্য সরবরাহ এবং খাদ্য উৎপাদন সহায়তার’ ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষুধা ও অপুষ্টি বহুগুণে বাড়বে, যা স্বাস্থ্যের উপর (বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের) মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এমনকি তাঁদের মৃত্যুও ঘটাতে পারে। এই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দারিদ্রের অন্যতম প্রধান কারণ।  অর্থাৎ, ফাও-এর এই আর্থিক সহায়তা হ্রাস দারিদ্রের দুষ্টচক্রকে আরও শক্তিশালী করবে। 
খাদ্য ও কৃষি সহায়তা প্রদানকে একটি মৌলিক মানবিক দায়িত্ব হিসাবে গণ্য করা হয়। এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগের তহবিল হ্রাস ট্রাম্প প্রশাসনকে নৈতিকভাবে প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। মার্কিন প্রশাসন, ফাও-এর জন্য বার্ষিক সাহায্য কয়েকশো মিলিয়ন ডলার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সংস্থাটি আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ‘হর্ন অব আফ্রিকা’-র বিভিন্ন সঙ্কটপূর্ণ দেশে সাহায্য প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছর ফাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০৭ মিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছিল, যা তাদের মোট বাজেটের প্রায় ১৪ শতাংশ। এই তহবিলের সিংহভাগই আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান এবং সোমালিয়ার মতো দেশগুলিতে ব্যয় করা হয়েছিল। যেখানে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কিন সরকারের নির্দেশে মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা তহবিল স্থগিত করার ফলে ফাও-এর ফিল্ড অফিসগুলি ইতিমধ্যেই চুক্তি কমাতে বাধ্য হয়েছে এবং  নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বাতিল করতে শুরু করেছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফের ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে ফাও-এর একজন ফিল্ডকর্মী বলেন, “কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়। যদি সেই অর্থ রাতারাতি অদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে প্রতিটি মানবিক সংস্থাই কোনও না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে বৃহৎ আয়তনের সাহায্য প্রদানকারী অন্য কোনও দেশ নেই যে বা যারা আফগানিস্তান এবং সুদানের প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য পাঠাতে পারে।” 
অনুদান বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ফাও -এর কৃষি সহায়তা বন্ধ করছে ঠিক তখনই জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা, সংঘাত এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে একাধিক অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আরও তীব্র হতে চলেছে। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জরুরি খাদ্য সহায়তার উপর আরও বেশি নির্ভরতা বাড়বে।
দেখে নেওয়া যাক সেরকমই কয়েকটি দেশে সম্ভাব্য কী ক্ষতি হতে পারেঃ 
এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে, প্রায় ১১.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফাও-এর কৃষি সহায়তা কর্মসূচিতে (বীজ ও সেচ ব্যবস্থা) ছেদ পড়লে, খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনাকে বাড়াবে।
চলমান সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে প্রায় ১৭.৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হতে পারে। ফাও-এর খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি ২০% কমিয়ে দেওয়া হলে, অতিরিক্ত ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ সুদানের প্রায় ৭.৭ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। ফাও-এর জরুরি খাদ্য এবং কৃষি উৎপাদন সহায়তার ক্ষমতা ২৫% হ্রাস পেলে,  অতিরিক্ত প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সহায়তার বাইরে চলে যেতে পারে।
হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ক্ষুধার্ত। ফাও-এর কৃষি পুনরুদ্ধারের সহায়তা হ্রাস পেলে, কৃষি উৎপাদন ২০% পর্যন্ত কমতে পারে, যা ওই দেশের খাদ্য সঙ্কটকে আরও তীব্র করবে।
এইসব পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, ফাও-এর তহবিল হ্রাস তার কার্যক্রমকে স্তিমিত করে দিয়েছে। ফলে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সাথে লড়াই করা দেশগুলিতে অচিরেই বিপর্যয় নেমে আসবে। 
খাদ্য নিরাপত্তায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও)-এর সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। ফাও যেমন কৃষকদের খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, নীতি সমর্থন ও কৃষি পদ্ধতির প্রচার করে, তেমন ডব্লিউএফপি সঙ্কটকালে (বিশ্বব্যাপী ফসল ঘাটতি, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তন) ক্ষুধার্ত মানুষদের খাদ্য ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করে। সংস্থাটি এই মুহূর্তে বিশ্বের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্য সরবরাহে সহায়তা করে। 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,  ডব্লিউএফপি’র সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। তারা  বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় এবং মানবিক বাজেট কমানোর ফলে ডব্লিউএফপি’র তহবিলে টান পড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপি এমন এক সময়ে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে যখন এর অর্থের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। সংস্থাটি এখন কয়েক বিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘাটতি পূরণের জন্য হিমশিম খাচ্ছে। অন্যান্য পশ্চিমী দাতা দেশগুলিও এই শূন্যস্থান পূরণে তেমন কোনও উৎসাহ দেখাচ্ছে না। ডব্লিউএফপি সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার মাত্রা বৃদ্ধি এবং  তহবিল হ্রাস, এই দু’য়ে মিলে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দেবে, যা  ৭৪টি দেশের ৩৪৩ মিলিয়ন মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করবে।
ডব্লিউএফপি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ জানিয়েছেন, বাজেট সঙ্কটের কারণে ডব্লিউএফপি-কে এখন ‘অকল্পনীয় সিদ্ধান্ত’ নিতে হচ্ছে। অনাহারের দ্বারপ্রান্তে থাকা মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা হ্রাস করার কথা ভাবতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “অতীতে, যারা ক্ষুধার্ত ছিলেন কিন্তু এখন আর ক্ষুধার্ত নন, তাঁদের জন্য আমাদের খাদ্য সহায়তা কমাতেই হতো। কিন্তু যারা ক্ষুধার্ত আমরা এখন তাঁদের জন্যও সহায়তা কমাতে বাধ্য হচ্ছি।” 
গাজায় পরিস্থিতি ভয়াবহ, সেখানে ১১ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।  সিরিয়াতেও একই অবস্থা, ১৪ বছরের সংঘাতের পর দেশের অর্ধেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবুও ডব্লিউএফপি অর্থের অভাবে এইসব জায়গায় খাদ্য সহায়তা সম্প্রসারণ করতে পারছে না। অর্থ সঙ্কটের কারণে সংস্থাটি তাদের কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে। বাংলাদেশ, কেনিয়া এবং জিবুতিতে শরণার্থীদের জন্য খাদ্য রেশন কমিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অফিস বন্ধ করেছে, কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে এবং রোমে তাদের সদর দপ্তরে নিয়োগ স্থগিত রেখেছে। কেনিয়ার কাকুমা শরণার্থী শিবিরে, রেশন কমানোর ফলে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করে ফ্রান্স, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলি তাদের বৈদেশিক সাহায্য বাজেট কমিয়ে দিচ্ছে। জার্মানিও সাহায্য তহবিলকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং বাণিজ্য অগ্রাধিকারের দিকে স্থানান্তরিত করার কথা বিবেচনা করছে। বেশ কয়েকটি দেশে, নতুন অতি দক্ষিণপন্থী জোটগুলি মানবিক কর্মসূচি থেকে সম্পদ সরিয়ে নির্বাসন নীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এই পরিস্থিতিতে কিছু ইউরোপীয় আইনপ্রণেতা, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিশ্ব  উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এবং সতর্ক করে বলেছেন  ইউএসএআইডি’র বৈদেশিক সাহায্য প্রত্যাহার রাশিয়া এবং চীনের জন্য ক্ষমতা দখলের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। তবে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা স্বীকার নিয়েছেন যে তারা —  “একা এই বোঝা বহন করতে পারবে না।”
মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য সঙ্কোচনের কারণে কয়েক মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন, অপুষ্টি এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়বে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মতে,  তহবিলের অভাবে ২০২৫ সালে প্রায় ৫ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ জীবন রক্ষাকারী সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে। এটি এক গভীর মানবিক বিপর্যয়। এর জরুরি সমাধান প্রয়োজন। ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে এবং ‘খাদ্য ও কৃষি’সহায়তার ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং সম্মিলিতভাবে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করা। 
 

Comments :0

Login to leave a comment