বসিরহাট থানার ইটিন্ডার পর এবার হাড়োয়া থানার জোকার বিল। সেখান থেকেও উদ্ধার হলো ভারতীয় জাল মুদ্রা। তবে কী ভারতীয় জাল মুদ্রা কারবারীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে বসিরহাট? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। দুই ভারতীয় জাল মুদ্রা কারবারীকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার মাঝরাতে উত্তর ২৪পরগনার হাড়োয়া থানার অধীন লাউহাটি রাজারহাট রোডে জোকার বিল এলাকা থেকে ১০০টি একশো টাকার মোট ১০ হাজার টাকার ভারতীয় জাল মুদ্রা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০ হাজার টাকা।যার সব কটিই ১০০ টি একশো টাকার নোট এবং তা নকল। ধৃতদের সাথে জাল মুদ্রা কারবারিদের কোন যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জাল মুদ্রা।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই হাওড়া স্টেশন থেকে ৯২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় একজন। মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকার বাসিন্দ মুন্না নামে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে হাওড়া জিআরপি থানা।
গত শুক্রবার রাতেও প্রায় ২ লাখ টাকার জাল নোট সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গাজোল থানার পুলিশ। কদুবাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন সন্দেহভাজন তরুণকে আটক করে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার জাল নোট। নোটগুলি সবই ৫০০ টাকার।
ধৃতদের নাম মোশারফ হোসেন (২৮)। বৈষ্ণবনগর থানার গুরুটোলা বীরনগর গ্রামের বাসিন্দা। আরেকজনের নাম নাসিম শেখ (২২), তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার রাজনগর গ্রামে। পুলিশ জানতে পারে জাল নোটগুলি নিয়ে বিহারের দ্বারভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। শুধু বসিরহাট মহকুমায় নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবে ভারতীয় জাল টাকা উদ্ধারে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
Comments :0