Insaf rally day 16

৪ থেকে ৮০ সবাই রাস্তায় আশীর্বাদের ডালি নিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে ইনসাফ যাত্রাকে

রাজ্য

গোটা রাস্তা জুড়ে থখন ধুলো উড়ছে, যেম মনে হবে কারা যেন যুদ্ধ করতে আসছে। ঠিক যুদ্ধই বটে। মানুষকে বাঁচানেোর যুদ্ধ।
হঠাৎ একজন চায়ের দোকানের থেকে জোরে বলে উঠলো ‘ওই তো পতাকা’।
দুরে তখন দেখা যাচ্ছে সাদা পতাকায় আঁকা লাল তারা। মুখ গুলো সামনে আসতে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। সামনে থেকে হাঁটছেন মীনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, শতরূপ ঘোষ, দেবদূত ঘোষ সহ ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। পিছনে শয় শয় মানুষ। যেন একটা স্রোত। যেই স্রোত এগিয়ে চলেছে মানুষের আশা, ভরসাকে পাথেয় করে। মিছিলে হাঁটছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের শহীদ রিন্টু শেখের পরিবার। রিন্টু নেই। কিন্তু শয় শয় রিন্টু আজ পথে নেমেছে রিন্টু শেখের খুনের ইনসাফ চাইতে।


৪বছর মাত্র মেয়েটি আবদার করে বসলো, ‘আমাকে একটু দেখতে দাও, আমি মীনাক্ষী দিদিকে ফুল দেবো।’ ওকে উপরে তুলে ধরলো একজন। সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি হাঁসি হেঁসে ফুল দিল ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে। শনিবার ডিওয়াইএফআইয়ের ইনসাফ যাত্রার ১৬ তম দিন। এদিন সকালে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থেকে শুরু হয় ইনসাফ যাত্রা। শনিবারের মিছিল শেষ হবে সাগরদীঘিতে।  


ইসলামপুর, মদনপুর যেখান দিয়েই এই মিছিল গিয়েছে সেখানেই রাস্তায় ভীর জমিয়েছে সাধারণ মানুষজন। তারা কথা বলছেন যুব নেতৃত্বের সাথে। নিজেদের পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিওয়াইএফআই রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে কাজ এবং শিক্ষার দাবিতে তাদের এই পদযাত্রা। তবে এর পাশাপাশি প্রতিদিন প্রতিটা ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেই কথাও তারা তুলে ধরবেন। তাই হচ্ছে ‘ইনসাফ’ চাইতে মিছিলে হাঁটছেন শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুররা।
কাজ চাই, শিক্ষা চাই। এই দাবিকে সমানে রেখে দুমাস রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে ডিওয়াইএফআই। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই ইনসাফ যাত্রা। যুব নেতৃত্বের কথায় কাজের দাবিতে তাদের এই পদযাত্রা শুধু নয়। রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে ভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে অন্যায় করে চলেছে তার ‘ইনসাফ’ চেয়ে তারা পথে নেমেছে। 
কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় বার বার দেখা যাচ্ছে যে, ছোট বড় বিভিন্ন সভায় যুবরা বলছেন, কাজের দাবি শুধু নয় সাধারণ মানুষে নিত্য দিনের যেই সমস্যা বিচার তারা চায়।

গায়ে সাদা জামা। মাথায় সাদা টুপিতে আঁকা লাল তারা। সবার হাতে বড় সাদা ঝান্ডা। যেই ঝান্ডা রাজ্যের কারখানার জন্য পদযাত্রা করেছিল, বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে জন্য রক্ত দিয়েছিল। সেই সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবার কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করলো কাজের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে।

Comments :0

Login to leave a comment