Left Front

মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে : বামফ্রন্ট

রাজ্য পঞ্চায়েত ২০২৩

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যাতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়। সেই দাবি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচনকে চিঠি দিল রাজ্য বামফ্রন্ট।ব রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিমান বসু চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, ‘‘শান্তিপ্রিয় মানুষদের ইচ্ছাকৃত ভাবে সশস্ত্র দুস্কৃতিদের বোমা, গুলির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন আয়োজনেই যদি ১৯ জনের প্রান হারাতে হয় তাহলে নির্বাচনের দিন বাংলায় কি হতে চলেছে! রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না। মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যথাযত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, অবাধ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন করার দায়িত্ব কমিশনের।’’


পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট কমিটির পক্ষ থেকে যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে যে, ‘‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বুথের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এই দায়িত্ব কমিশন এড়িয়ে যেতে পারে না। মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করবো আপনি নিরপেক্ষতার সঙ্গে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী ভূমিকা নেবেন।’’


নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষব নিয়েও কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছে বামফ্রন্ট। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ জেলায় সমসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়নি। এমনকি অধিকাংশ জায়গায় বাহিনী নিয়োগের কোন নির্দেশিকা যায়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘‘আজ ৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছে খবর আসছে যে অল্পসংখ্যক বুথে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সমসংখ্যক পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে। বেশিরভাগ বুথে নানা টালবাহানা, গড়িমসি ও নির্দিষ্ট গাইড লাইনের অভাবে, কোথাও যানবাহনের অভাবের কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে না।’’


রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে কমিশনকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্ব তাদের। সাধারণ মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, ২০১৮ সালের মতো তাদের ভোটাধিকার যাতে কেড়ে নেওয়া নয় জয় সেই দায়িত্ব কমিশনকেই পালন করতে হবে উল্লেখ করা হয়েছে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যে টালবাহান করবে তা প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘যেখানে তৃণমূল হারবে জানে সেখানে বাহিনী মোতায়েন করা হবে  না। ওরা চাইবে ভোট লুঠ করতে। কিন্তু মানুষ এবার ঐক্যবদ্ধ ভোট লুঠ আটকাবার জন্য। মানুষের বাহিনীর কাছে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী দাঁড়াতে পারবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment