লাইন হুবহু এক। একজন কলকাতায় দাঁড়িয়ে বেকার চাকরিপ্রার্থীদের চপ তেলেভাজার দোকান খুলে আত্মনির্ভরতার পাঠ দেন। ঠিক একই কায়দায় মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক পড়ুয়াদের উপদেশ দিয়েছেন, ‘‘ডিগ্রি নিয়ে কোনও লাভ নেই। মোটরসাইকেলের পাংচার সারানোর কাজ শিখুন। তাতে বেশি লাভ।’’
মধ্যপ্রদেশের গুণায় প্রধানমন্ত্রী কলেজ অফ এক্সিলেন্সের উদ্বোধনে এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক পান্নালাল শাক্য। সেখানেই এমন উপদেশ দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
রবিবার ইন্দোরের সভা থেকে অনলাইনে মধ্যপ্রদেশের ৫৫টি জেলায় প্রধানমন্ত্রী কলেজ অফ এক্সিলেন্সের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর কলেজগুলিতে আলাদা ভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। গুণা জেলার তেমনই একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে সদ্য উদ্বোধন হওয়া কলেজের ডিগ্রির ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন পান্নালাল শাক্য।
শাক্য বানী অনুযায়ী, ‘‘আমরা এখানে প্রধানমন্ত্রী কলেজ অফ এক্সিলেন্স খুললাম আজকে। কিন্তু সবাইকে একটি বোধ বাক্য মাথায় রাখতেই হবে। কলেজের ডিগ্রি দিয়ে কিছু হওয়ার নয়। জীবীকা নির্বাহ করতে চাইলে মোটরবাইকের চাকার পাংচার সারানো শিখুন। চাকা সারানোর দোকান খুলুন। তাহলে খাওয়ার চিন্তা অন্তত থাকবে না।’’
শিক্ষামহলের বক্তব্য, বুঝে কিংবা না বুঝে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আসল ছবিটা তুলে ধরেছেন পান্নালাল শাক্য। গত ১০ বছরে দেশের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত লাটে ওঠার জোগাড়। শিক্ষার মান তলানিতে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সিলেবাস পরিবর্তন হচ্ছে। বাস্তবের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ভাবে সিলেবাস তৈরি হচ্ছে। নিটের মত সর্বোচ্চ স্তরের পরীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষা, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ কমাচ্ছে কেন্দ্র। এই অবস্থায় সত্যিই ডিগ্রির মূল্য প্রায় নেই বললেই চলে।
Comments :0