Coochbeher

বাড়ি ফিরল পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

জেলা

 

ফের কেরালা থেকে হলদিবাড়িতে ফিরলো এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ। কফিন বন্দী মৃত শ্রমিক রাসেল হকের(২১)দেহ বাড়িতে আসতেই পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাদের ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে!
হলদিবাড়ির দেওয়ানগঞ্জের ফতেমামুদ এলাকার ২১ বছরের এই যুবক এলাকার গুল্টু মহম্মদের সাথে কেরালায় গিয়েছিল কাজুবাদামের বাগানে শ্রমিকের কাজ করতে। পরিবারের অভিযোগ প্রতিবেশী গুল্টু মহম্মদের সাথে রাসেলের পরিবারের জমিতে খড় রাখা নিয়ে বিবাদ বাধে। দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র বিরোধ মেটাতে শালিসি সভা বসায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিষয়টি মিটিয়ে দিলেও অভিযুক্ত গুল্টু মহম্মদ রাগ পুষে রেখেছিল বলে রাসেলের পরিবারের অভিযোগ।
মৃত রাসেলের বাবা আইজুল হক বলেন, অভিযুক্ত গুল্টু ফুঁসলিয়ে রাসেলকে কেরালায় নিয়ে যায়। আমরা বুঝতে পারিনি ওর মাথায় এরকম বিভৎস মতলব ঘুরপাক খাচ্ছে।


গত রবিবার বিকেল ৩ টে  নাগাদ রাসেল শেষবার তাঁর মা রূপালী খাতুনকে ফোন করেছিল। তখন রাসেল তাঁর মাকে বলেছিল, সে ভয়ে ও চাপে আছে। এরপর রবিবার রাতে আর রাসেলকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, কাজুবাদাম বাগানের সিকিউরিটি গার্ড ফোনে পরিবারকে জানিয়েছে, সেদিন গুল্টুকে মারধোর করতে দেখা গেছিল। আগেও গুল্টু তাকে মারধোর করতো অকারণেই।
জানা গেছে রবিবার রাতে রাসেলের মৃতদেহ বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে বলে কোম্পানীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কেরালার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রাসেলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, থানায় গুল্টুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
শুক্রবার রাসেলের গ্রাম ফতেমামুদের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রাসেল অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে। বন্ধুদের কেরালায় যাবার আগে বলে গিয়েছিল, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ভিন রাজ্যে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। রাসেলের বন্ধু তারিক হোসেন বলেন, শান্ত স্বভাবের বন্ধু যে এভাবে কফিন বন্দী হয়ে ফিরে আসবে সেটা ভাবতেই পারছি না। আমরা সকলেই চাই রাসেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত হোক। যদি খুন হয়ে থাকে তবে খুনীর সাজা হোক।
 

Comments :0

Login to leave a comment