School MURSHIDABAD

আবার ঝাড়খণ্ডে পড়তে যেতে হবে?

রাজ্য জেলা ফিচার পাতা

অনির্বাণ দে
 

১৬০০’র ও বেশি ছাত্রীর জন্য মাত্র ৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। উৎসশ্রীর গেরোয় আর নিয়োগের অভাবে ধুঁকছে ফারাক্কার বাহাদুপুর হাইস্কুল।
ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বাহাদুপুরের ছেয়েমেয়েরা আগে পড়তে যেত ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ড থেকে পড়াশোনা করেছেন এই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সাহাও। ১৯৮৬ সাল নাগাদ স্থানীয়রা মিলে এই স্কুলটি তৈরি করেন। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এলাকার গণআন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও। সেই সময় বিধায়ক ছিলেন আবুল হাসনাৎ খান। সকলের উদ্যোগেই ১৯৯৭ সালে এই স্কুল পূর্ণাঙ্গ চেহারা পায়। ক্রমে এসএসসি’র মাধ্যমে স্কুলে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। বেড়ে ওঠে স্কুল। কিন্তু শেষ প্রায় আট বছরে ক্রমাগত পিছিয়ে গিয়েছে এই স্কুল। 


বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ৯-এ এসে ঠেকেছে। হাইস্কুলে আশেপাশের ২৩ টি গ্রাম থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। বিশাল ভবন থাকলেও শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুল। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস থাকলেও এই স্কুলে ভূগোল, বাংলা, ইংরেজি বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। অর্থনীতি বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ১২০ জন ছাত্রছাত্রী। যদিও এই বিষয়ে একজনও শিক্ষক নেই। স্থানীয় যুবকদের সাহায্য নিয়ে চলছে স্কুলের পড়াশোনা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সাহা বলেছেন,“আমাদের স্কুলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই গরিব পরিবার থেকে আসে। একটা বড় অংশ এসটি এবং এসসি তালিকাভুক্ত। কিন্তু সরকারি অবহেলায় শিক্ষকের অভাবে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’’ আবার কী ঝাড়খণ্ডের স্কুলগুলিতে পড়ার জন্য যেতে হবে?
এই স্কুলে ৬০ আসনের আদিবাসী ছাত্রীদের জন্য হস্টেল আছে। হস্টেলের দায়িত্বে রয়েছেন স্কুলেরই শিক্ষিকা শিবানী কিস্কু। হস্টেলে থেকে ছাত্রীদের দেখভালের পর আবার ক্লাস নিতে হয় তাঁকেই।  
 

Comments :0

Login to leave a comment