Madhya Pradesh Congress

সোমবার থেকেই মধ্যপ্রদেশে প্রচারে নামছে প্রিয়াঙ্কা

জাতীয়

কর্ণাটকে জয়ের পর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে কংগ্রেস। ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে ক্ষমতা ধরে রাখাটা তাদের কাছে যেমন চ্যালেজ্ঞ। ঠিক সেই ভাবে মধ্যপ্রদেশ দখল করাটাও তাদের কাছে চ্যালেজ্ঞ। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকার গঠন করলেও কয়েক বছরের মধ্যে সেই সরকার পড়ে যায়। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ২২ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া টিকে থাকেনি কমলনাথ সরকার। এবার তাই মধ্যপ্রদেশকে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস হাই কমান্ড।


কংগ্রেস সূত্রে খবর সোমবার থেকেই বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নামছেন তারা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পদযাত্রা দিয়ে এই প্রচার শুরু হচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর সোমবার জবলপুরের নর্মদা পার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। উল্লেখ্য এই জবলপুরের অধিকাংশ ভোটার তফশিলি জাতি এবং উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার ১৩ সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ১১ টিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। দুটি যায় বিজেপির দখলে। অনেকে মনে করেছেন এই তফশিলি জাতি এবং উপজাতির ভোটারদের মন ধরে রাখতেই জবলপুর থেকে প্রচার শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস।


কংগ্রেস নেতা জগৎ বাহদুর সিং রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, ‘‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সোনবার দলের প্রচার শুরু করবেন এবং সংকল্প ২০২৩ এর অনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। বেলা ১০:৩০ নাগাদ তিনি পদযাত্রা শুরু করবেন।’’ তিনি আরও জানিয়েছেনযে, আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রায় প্রায় দুই লক্ষ মানুষ অংশ নেবেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পদযাত্রা চলাকালিন রানী দূর্গাবতীর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রিয়াঙ্কা। মুঘলদের সাথে যুদ্ধে শহীদ হন রানী দূর্গাবতী।
রাজ্য কংগ্রেসের দাবি জবলপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি বিজেপি সরকার। তবে কংগ্রেস সাংসদ বিবেক টাঙ্খা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা মহাকোশাল দিয়ে না যাওয়ার কারণেই সেকান থেকে পদযাত্রা শুরু করছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘‘মহাকোশালে যেই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার প্রভাব পাশের দুই অঞ্চল বিন্দ এবং বুন্দেলখন্ড পড়বে। এই দুই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া জোড়ালো।’’


জবলপুর, কাটনি, সিওনি, নরসিংহপুর, বালাঘাট, মান্ডলা, ডিন্ডোরি এবং ছিন্দওয়ারা জেলা নিয়ে ৩৮ টি বিধানসভা আসন রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস এই আসনগুলির মধ্যে ২৪টি আসন জিতেছিল এবং বিজেপি ১৩টিতে জয়লাভ করে। একটি আসনে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থী।
২০১৩ সালের নির্বাচনে, বিজেপি ২৪টি আসন জিতেছিল এবং কংগ্রেসকে মাত্র ১৩টিতে জয়ী হয়। 


বিন্ধ অঞ্চলে, বিজেপি ১৪টি আসন জিতেছিল। কংগ্রেস গত নির্বাচনে সেখানে মাত্র ছয়টি আসনে জয়ী হয়। সাগর, ছাতারপুর, টিকমগড়, দামোহ, নিওয়াদি এবং পান্না জেলা নিয়ে গঠিত বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৫টি, কংগ্রেস ৯টি, সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) একটি করে আসন জেতে।
গত বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস ২৩০ টি আসনের মধ্যে ১১৪টি আসন পায়। বৃহত্তম দল হিসাবে অন্য বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন তারা। কিন্তু ২০২০ তে জ্যোতিরাদিত্য ২২ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি যোগ দেওয়ায় ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস।

Comments :0

Login to leave a comment