IMRAN KHAN

গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগ, জেলে ১ ঘন্টা জেরা ইমরানকে

আন্তর্জাতিক

IMRAN KHAN PAKISTAN INDIA PAKISTAN E TEHRIK E INSAF USA BENGALI NEWS

সরকারি গোপনীয় তথ্য এদিক-ওদিক করে ফেলেছেন ইমরান খান। তিনি নিজেই নাকি গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন এই কথা। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম। 

শনিবার পাকিস্তানের অ্যাটক কারাগারে ইমরান খানকে জেরা করেন পাক গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মার্কিন দূতাবাস থেকে পাওয়া গোপনীয় সরকারি তথ্য জনসমক্ষে ফাঁস করেছেন। 

প্রসঙ্গত, একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে অ্যাটক জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই ইমরান অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন, মার্কিন প্রশাসনের মদতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার চক্রান্ত চলছে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তিনি ক্ষমতাচ্যুৎ হন। তার কিছুদিন আগে একটি জনসভায় ইমরান খানকে একটি কাগজের দলিল নাড়তে দেখা গিয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, সেই দলিলেই তার বিরুদ্ধে হওয়া চক্রান্তের প্রমাণ রয়েছে। 

ইমরানের এই দাবিকে ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। পাক সরকারের আনা অভিযোগে বলা হচ্ছে, গোপনীয় কূটনৈতিক দলিল তিনি জনসমক্ষে ফাঁস করেছেন। 

ইতিমধ্যে ইমরানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র সন্ত্রাসবাদ দমন শাখা। শনিবার অ্যাটক কারাগারে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এই সংস্থার গোয়েন্দারা। 

পাকিস্তানের ডন সংবাদপত্র জানাচ্ছে, কারাগারে প্রায় এক ঘন্টা ইমরান খানকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। ইমরানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত হয়েছে ৬ সদস্যের এক বিশেষ দল। শনিবার এই দলের সদস্যরাই খানকে জেরা করেন। 

ডনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইমরান জেরা জানিয়েছে, তিনি উল্লিখিত সরকারি তথ্যের দলিলটি হারিয়ে ফেলেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তিনি জনসভায় গোপন তথ্যের ফাইল নিয়ে যাননি। ইমরানের দাবি, সেদিন তাঁকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের  মিনিটস নাড়তে দেখা গিয়েছিল। 

গোপনীয় তথ্য ফাঁসের মামলায় ইমরানের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি’র  নামেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। কুরেশিকে তাঁর বাসভবন থেকে ১৯ আগস্ট  গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ইমরান খানের প্রিন্সিপাল সচিব আজম খান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রকের প্রাক্তন মন্ত্রী আসাদ ওমরের  ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comments :0

Login to leave a comment