রাহুল গান্ধীর শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদনের শুনানি হবে ২ মে। গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক এই নির্দেশ দিয়েছেন। দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশে স্থগিতাদেশ মিলবে কিনা, সম্ভবত, ওই দিনই বোঝা যাবে।
শনিবার গুজরাট হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবী। বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুলের পক্ষে বলা হয়, ‘‘বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে ভাবে শাস্তির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার যথার্থতা ঘিরে গভীর সংশয় রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন সরকারি কর্মচারি বা জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
গত মাসে। ২৩ মার্চ সুরাটের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সময় নষ্ট না করে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করা হয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাহুল বলেছিলেন কেন সব চোরদের নামের পরে মোদী পদবি থাকে। সেই সময়ে তোলপাড় চলছিল দেশে হাজার হাজর কোটি টাকা জালিয়াতিতে যুক্ত ললিত মোদী বা নীরব মোদীর বিদেশে নিশ্চিতন্ন আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা। দু’জনের সঙ্গেই বিজেপি’র ঘনিষ্ঠতার নানা তথ্য সামনে আসছিল। কিন্তু সেই বক্তব্য ঘিরে গুজরাটের সুরাটে মানহানি মামলা দায়ের করেন বিজেপি’র পূর্ণেশ মোদী। যে মামলার রায়ে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে নিম্ন আদালত।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটের নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। নিম্ন আদালতই আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছিল। ২০ এপ্রিল সেই আবেদন খারিজ হয়। এরপর সাজার নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদন জানান গুজরাট হাইকোর্টে।
Comments :0