সোমবার দিল্লিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সমাধিস্থলে গেলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র মাঝে সোমবার তিনি শ্রদ্ধা জানান গান্ধীজীর সমাধিস্থলেও। তবে বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোয় রাজনৈতিক মহল সরগরম থেকেছে।
সোমবার কাকভোরে রাহুল রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরুর সমাধিস্থলে গিয়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানান। তারপর সেখান থেকে রাজঘাটে যান রাহুল। রাজঘাটে গান্ধীজীর সমাধিস্থলে দীর্ঘক্ষণ কাটান রাহুল। রাজঘাট থেকে লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে সম্মান জানাতে তাঁর সমাধিস্থল বিজয় ঘাটে যান রাহুল। এছাড়ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপায়ীর সমাধিস্থলেও এদিন যান রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামে সমাধিতও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
বিজেপি’র সাইবার সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, স্রেফ মিডিয়ায় ফটোশুট করার জন্যই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সমাধিস্থলে ঘোরাফেরা করেছেন রাহুল। তাঁর টুইট। ‘‘ভারত জোড়োর যাত্রাপথেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাওয়ের সমাধিস্থল ছিল হায়দরাবাদে। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। পেটোয়া সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকার জন্যই এই চেষ্টা।’’
কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে শ্রদ্ধা জানানোর ছবি দিয়ে পালটা বলা হয়েছে, ‘‘সম্মান জানানো ভারতের পরম্পরা। সব পরম্পরাকে রক্ষা করতে চায় কংগ্রেস।’’
এদিন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা বলেন, ‘‘দেশে মুদ্রাস্ফীতি, অনুন্নয়ন, বেকারত্ব এবং বিদ্বেষের পরিবেশের কামড় ডিসেম্বরের শীতকেও হার মানাবে। তাই রাহুল ৬ ডিগ্রি শীতকে উপেক্ষা করে কেবলমাত্র জ্বলন্ত ইস্যুগুলির দিকেই মনোনিবেশ করেছেন।’’
দলের অন্যতম মুখপাত সুপ্রিয়া শ্রীনাতেত মন্তব্য, ‘‘গুজরাট হিংসার পর অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘রাজধর্ম’ পালনের বার্তা দিয়েছিলেন। আমার মনে হয় সংবিধানকে রক্ষার বার্তা সামনে রেখে রাহুল গান্ধী শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অটলজীকে।’‘
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা আলোড়ন ফেলেছে দেশের একটা বড় অংশে। এই পদযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি বিরোধী একাধিক ভাষ্যকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। যোগেন্দ্র যাদব, রঘুরাম রাজন, কমল হাসানরা পা মিলিয়েছেন। যাত্রার দিল্লি প্রবেশ ইস্তক বিজেপি’র একের পর এক আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে কংগ্রেসকে, বিশেষত রাহুল গান্ধীকে।
Comments :0