ভন্ড সাধু রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের তিনটি মামলার শুনানিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ রাম রহিমকে নোটিশ পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে।
শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননার মামলায় রাম রহিমের বিরুদ্ধে কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের আবেদনের শুনানি চলছিল।
মামলাগুলি ২০১৫ সালে ফরিদকোট জেলার বারগারিতে গুরু গ্রন্থ সাহিবের একটি প্রতিলিপি চুরির সাথে সম্পর্কিত। পরে বারগারিতে পবিত্র গ্রন্থের ছেঁড়া পৃষ্ঠাগুলি পাওয়া যায়, যা ফরিদকোটে ব্যাপক প্রতিবাদের সূত্রপাত করে। বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠলে বেহবল কালানে পুলিশ গুলি চালালে দু’জন নিহত হন। কোটকাপুরায় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট রাম রহিম এবং সাত ডেরা সচ্চা সৌদা অনুসারীর বিরুদ্ধে শুনানি ফরিদকোটের একটি আদালত থেকে চণ্ডীগড়ে স্থানান্তরিত করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাম রহিমের এক অনুগামীকে গুলি করে খুন করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাম রহিম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ২০১৫ সালের তিনটি অনৈতিক এফআইআরের সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিরোমণি অকালি দল-বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের পাশাপাশি ধর্মগ্রন্থ ইস্যুটি পাঞ্জাবে প্রধান নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল।
খুন ও ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন রাম রহিম। বেশ কয়েকবার প্যারোল এবং ফারলো মঞ্জুর করা হলেও সে রোহতকের সুনারিয়া কারাগারে বন্দী।
Comments :0