The Kerala Story

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্যা কেরালা স্টোরি প্রদর্শন নিয়ে বিক্ষোভ এসএফআইয়ের

জাতীয়

মঙ্গলবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচারমূলক সিনেমা দ্যা কেরালা স্টোরি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এবিভিপি’র এই কর্মসূচি নিয়েই মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। এসএফআই জেএনইউ ইউনিটের পক্ষ থেকে এই প্রদর্শনী নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। প্রদর্শনী বাঁধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে।


এসএফআইয়ের বক্তব্য এই সিনেমা আরএসএসের প্রচারমূলক সিনেমা। এর মাধ্যমে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার যেই চরিত্র তাতে আঘাত আনা হয়েছে। উল্লেখ্য এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে যে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে একজন মহিলাকে বিয়ে করে পাচার করা হয়। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দ্যা কেরালা স্টোরি প্রদর্শন নিয়ে আপত্তি নিয়ে মামলা দায়ে হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে রাজি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের রকমফের আছে। সিনেমাটি ইতিমধ্যেই সেন্সরশিপের ছাড়পত্র পেয়েছে। বিষয়টি এরকম নয় যে কেউ মঞ্চে উঠে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। যদি সিনেমাটিকে চ্যালেঞ্জ করতে হয় তাহলে উপযুক্ত পথে সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্রকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।


বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নর বেঞ্চের পরামর্শ মেনে নেন সিব্বল এবং পাশা।  এই সিনেমায় যে দাবি করা হয়েছে তার বিরোধীতা করে আগেই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সরব হন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যক। ছবি তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষ এই রাজ্যকে সন্ত্রাসবাদের রাজধানী হিসাবে তুলে ধরাই এই ছবির নির্মাতাদের আসল উদ্দেশ্য। বিজয়নের দাবি, এই ছবি তৈরির নেপথ্যে রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের বিভাজনের রাজনীতি। তাঁর আরও অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবার কেরলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করছে। 


আশ্চর্জজনক হলো, রিলিজ হওয়ার মাত্র কদিন আগেই ধর্মান্তরিত মহিলার সংখ্যা ৩২,০০০ থেকে মাত্র ৩-এ নেমে আসে ছবির ট্রেলারের শিরোনামে! যা নিয়ে টুইটারে সরব হন রাজ্যের সিপিআই(এম) সাংসদ জন ব্রুটাস। তিনি টুইট করেন, ‘‘একদিনেই সংখ্যাটা ৩২,০০০ থেকে ৩-এ নেমে এলো!!’’


ছবির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘‘এ আপনাদের কেরালা স্টোরি হতে পারে, আমাদের নয়।’’
সুদীপ্ত সেনের পরিচালিত এই ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছে যে, কেরালার ৩২,০০০ জন মহিলা নিখোঁজ। পরে, প্রত্যেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিস-এ যোগ দেয়। মূলত ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে ইসলামিস্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদান করানোর দাবি করা হয় ট্রেলারে।

Comments :0

Login to leave a comment