মীনাক্ষী মুখার্জি
সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে, মানুষের রায়ে বামফ্রন্ট সরকার তৈরি হয়। সামনে তখন চ্যালেঞ্জ অনেক ছিল। প্রতিদিন এর সম্মুখীন হতে হয়েছে। লড়তে হয়েছে, জিতেছে, আবার নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। সাধারণত তাই হয়। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, ভবিষ্যৎ সবকিছুই সঙ্কটে ছিল সেসময়ে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, তাদের ভ্রান্ত নীতি, প্রান্তিক গরিব মানুষের কাছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জমি, খাদ্য, কাজ, পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের আদর্শগত সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকার আসার পর মানুষের জীবন ধারণের বুনিয়াদি প্রয়োজনগুলো তাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসাটাই একটি গুরু দায়িত্ব ছিল। সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা সহ প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল, আক্রমণ ছিল, কিন্তু জানকবুল লড়াই ছিল। তাই পচা পুকুরের একটি ঘাট পরিষ্কার রাখার লড়াইটা ছিল আদর্শগত। মেহনতি মানুষের কাছে জমি, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের পাহারাদারিতেই এসব অধিকার নিয়ে লড়াই হয়েছে। শুধু অধিকার দেওয়া নয়। অধিকারকে সুরক্ষিত করতে আইন তৈরি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার— জমির সিলিং আইন, বর্গা আইন, খাদ্য দ্রব্যের কালোবাজারি রোধের আইন, অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
বামফ্রন্ট সরকারে এসে ধনী জোতদার জমিদারদের সিলিং বহির্ভূত জমি কেড়ে নিয়ে গরিব মানুষের হাতে সেই সব জমির পাট্টা দিয়েছিল, বর্গাদারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। মানুষের পায়ের তলার জমি শক্ত হলো, ফলে গলার আওয়াজেরও জোর বাড়ল। চাষে সরকারের ভরতুকি, ফসল কেনার সিদ্ধান্ত, রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ম্ভর করা, রেশনের মাধ্যমে সস্তায় খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করা— সবটাই ছিল সমষ্টিবাচক এবং শ্রেণি চেতনায় সমৃদ্ধ মানবিক ভাবনার পরিচয়। নজর ছিল শিক্ষাক্ষেত্রেও। বামপন্থীদের সরকারে থেকেও লড়তে হয়েছে, ভূমি সংস্কারে রাজ্যে জমি হারানো জমিদারি মানসিকতার বিরুদ্ধে।
সামন্ততান্ত্রিক প্রভাব ছিল শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায়। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে রীতিমত জমিদারি মানসিকতার প্রভাব ছিল। তার বিরুদ্ধে বামপন্থীদের লড়াই ছিল আসলে শ্রেণিগত লড়াই। শিক্ষা শুধু মুষ্টিমেয় ধনীদের জন্য নয়, প্রান্তিক মেহনতি মানুষেরও শিক্ষার অধিকার আছে। সেই লড়াইটাই বামপন্থীদের আইনগত ও চেতনাগত দিক থেকে লড়তে হয়েছিল। গ্রামে গ্রামে স্কুল তৈরি হলো। নির্বাচিত স্কুল পরিচালন সমিতি গঠিত হলো। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগে সঠিক নিয়োগ নীতি প্রতিষ্ঠা করতে স্কুল সার্ভিস কমিশন তৈরি হলো, যাকে আমরা এসএসসি বলে জানি। একজন শিক্ষা বেচবে এবং যার সাধ্য আছে সে কিনবে বনাম সরকার শিক্ষা দেবে এবং সবাই শিক্ষা পাবে, এই দুই বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গির লড়াই ছিল। জেলায় জেলায় বাস্তুঘুঘুদের হাত থেকে স্কুল, কলেজ শিক্ষাকে বের করে নিয়ে এসে সবার জন্য শিক্ষা, এই পর্যায়ে নিয়ে আসাটা খুব সহজ ছিল না। বামফ্রন্ট সরকার ছিল, লড়াই হয়েছিল। গ্রামে গ্রামে স্কুল, শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন বৃদ্ধি, বিনামূল্যে বই, বিনা বেতনে বারো ক্লাস পর্যন্ত শিক্ষা, সর্বশিক্ষা অভিযান, মিড ডে মিল— সব কিছুর জন্য রাজ্যের মাটিতে দাঁড়িয়ে সাত বারের বামফ্রন্ট সরকারের লড়াই, আবার ৬১ জন লাল ঝান্ডার সাংসদ নিয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টের ভিতরেও লড়াই হয়েছে।
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে ধনী পরিবারের সন্তান আর গরিব বাড়ির সন্তান একসাথে এক ইউনিফর্ম পরে এক ক্লাসরুমে বসে একই শিক্ষকের কাছে পড়বে। যত স্কুলের সংখ্যা বাড়ল, তত শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর প্রয়োজন পড়ল। প্রয়োজন পড়ল স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির। পশ্চিমবঙ্গে, বাম সরকারের গণটোকাটুকি বন্ধ করা যেমন একটি বড় কাজ ছিল, তেমনই ১৯৯৮ সাল থেকে এসএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি পরিচালনা করা একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। আজ অবধি ১৯৯৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত এসএসসি দ্বারা নিয়োগের বিরুদ্ধে কাউকে রাস্তায় নামতে হয়নি। কাউকে দুর্নীতি করে জেলে যেতে হয়নি। কারোর চাকরি বাতিল হয়নি। কাউকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হয়নি। ২ হাজার দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হয়নি। পুলিশের মার খেতে হয়নি। জামিন অযোগ্য ধারায় কারোর নামে কেস হয়নি। লক-আপে থাকতে হয়নি। কোনও চাকরি প্রার্থীকে দুর্নীতির প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল কেটে ফেলতে হয়নি। ঘুষ দিতে হয়নি, আত্মহত্যাও করতে হয়নি।
ফলে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়েছিল। একবেলা খেয়েও ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর চেতনা তৈরি হয়েছিল। লেখাপড়া করে নিজের পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জীবনযাপন করার মত চাকরি জোগাড় হতে পারে, তার প্রতি আস্থা বেড়েছিল। সার্বিকভাবে বামেদের লড়াইয়ের প্রতি, শিক্ষার প্রতি, শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি, বামপন্থী আদর্শের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষ নিজের অভিজ্ঞতাতেই আস্থাশীল হয়েছিল। চেতনায় গুণমানে সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ আরও এগিয়ে যাচ্ছিল। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, কৃষি, শিল্প কারখানা, শিক্ষার হার, মেয়েদের শিক্ষার হার গুণগতভাবে বাড়ছিল। সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমছিল। তাই গোটা দেশে যখন দাঙ্গার পরিবেশ, সেটা ১৯৮৪, ১৯৯২ বা ২০০২ হোক, তখন পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার চেতনায় সমৃদ্ধ মানুষ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বে বসবাস করছিল।
২০১১ সালে পালা বদল হলো। আপাত দৃষ্টিতে রাজ্যের মানুষের সম্মতিতেই, কিন্তু আসলে বিরাট ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্তে বামফ্রন্ট সরকারের পতন হলো, এবং তৃণমূল পরিচালিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো রাজ্যে। শুরু হলো একটি নতুন অধ্যায়। যে অধ্যায়ে গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং শ্রেণিগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না বলে আমরা মনে করলেও, বাকি অংশের মানুষ মনে করছিল যে প্রকৃত গরিব দরদি, কৃষক দরদি, মানুষের সরকার এটা। কিন্তু সরকার প্রথম দিন থেকেই পচা শামুকে পা কাটলো। দুর্নীতির গন্ধে চারিদিক ম ম করতে লাগলো। ১৪ বছরে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে তৃণমূল সরকার দুর্নীতি করেনি। খাদ্য, একশো দিনের কাজ, আবাস, রাস্তাঘাট তৈরি, জমি, বালি, মাটি, গোরু পাচার, লটারি থেকে শুরু করে নিয়োগ এবং তার সাথে শিক্ষা।
বামফ্রন্ট সরকারের সময় ছিল শিক্ষাকে সরকারি শিক্ষায় পরিণত করতে হবে। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকেই গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যের সরকারও শিক্ষায় বেসরকারিকরণের দিকে এগতে শুরু করল। কীভাবে? স্কুলগুলোতে নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ থাকলো। যেটুকু নিয়োগ হচ্ছিল, তাও দুর্নীতি করে। কোর্টে কেস, রাস্তায় চাকরি প্রার্থীরা। মানুষের আস্তে আস্তে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমতে লাগলো। এদিকে নয়া উদারনীতির প্রভাবে দেশজুড়ে মন্দা। বিপুল মুনাফা যারা করছে, তাদের পকেটে প্রচুর পয়সা। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাজের জায়গা প্রতিদিন সংঙ্কুচিত হতে থাকলো। একদিকে কাজ নেই, আর অন্যদিকে লেখাপড়ার সাথে সাথে মাস্টারমশাইদের দুনিয়ার কাজ দিতে থাকলো সরকার। বাড়ি বাড়ি যেতে হবে, বিভিন্ন সার্ভে করতে হবে। অর্থাৎ একজন মাস্টারমশাই, দিদিমণি যিনি সমাজ গড়ার কারিগর, তাঁকে তার স্কুলের নির্দিষ্ট শিক্ষা পঠন পাঠনের কাঠামো গড়ে তোলার পরিবর্তে বেশি করে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত করল। এতে শিক্ষার প্রতি মনোভাব বাড়ল না কমলো- তা, ভবিষ্যৎ বলবে।
এরপর শুরু হলো পাশাপাশি কিছু স্কুলকে একসাথে করার কাজ। ফলে স্কুলে ড্রপ আউট শুরু হলো। কাজের জোগাড় নেই, বাড়িতে খাবার জোগাড় নেই। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা কিশোর বয়সেই লেখাপড়া ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিক, পাশের ইটভাটা, টালিভাটাতে কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছে। স্কুলের গেটে তালা পড়তে লাগলো। সরকার বলল, তিরিশের নিচে যদি শিক্ষার্থী থাকে তাহলে পাশাপাশি স্কুলগুলোকে একসাথে করে দেবে। তার মানে "লেখাপড়া করে যে, গাড়ি চাপা পড়ে সে।" সে কাজ পাবে না। ফলে বামফ্রন্টের সময় শিক্ষার প্রতি যে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, এখন উলটে শিক্ষার প্রতি অনীহা তৈরি হলো।
শিক্ষার প্রতি অনীহা তৈরি হওয়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। ঘুষের বিনিময়ে চাকরি, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি, র্যা ঙ্ক জাম্প করে চাকরি, পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের মতো স্কুলে না গিয়েও চাকরির বেতন পাওয়া ইত্যাদি কারণে গোটা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের চরম বিতৃষ্ণা তৈরি হলো। যাদের একটু আধটু সামর্থ্য ছিল, তারা বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের পড়াতে লাগলেন। কিন্তু বিজ্ঞানের নিয়মে তো কোনও জায়গা ফাঁকা থাকে না। শূন্যস্থান পূরণ করল কে? এখানে আবির্ভাব হলো মোহন ভাগবত, আরএসএস’র। তারা এল এবং বনবাসী থেকে শহরাঞ্চল পর্যন্ত সব জায়গায় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো নিজেদের উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মান্ধতার শিক্ষা দেবার স্কুল তৈরি করল। রাজ্যের সরকার তাদের অনুমোদন দিতে শুরু করল। বলল- তোমরা পড়াও। তারা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস পড়ানোর সাথে সাথে নিজেদের উগ্র জাতীয়তাবাদ, দেশ ও সংবিধান বিরোধী উগ্র ধর্মান্ধতার পাঠ দিতে থাকলো। ফলে স্কুল ব্যবস্থা সরকারি হাত থেকে বেরিয়ে আরএসএস’র হাতে এবং বেসরকারি হাতেও পড়তে শুরু করেছে।
আমরা লড়ছি দেশের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচাতে। আমাদের দেশে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে, গবেষণায় টাকা কমে। গরিব বাড়ির মেধাবী বাচ্চারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবে কীভাবে? টাকা পয়সা নেই। আদিবাসীদের, তফসিলি, মূক বধিরদের জন্য যে হস্টেলগুলো ছিল, সেগুলো বন্ধ হতে থাকলো। মিড-ডে মিলের খাবারের বরাদ্দ কমতে থাকলো। সরকার প্রায় হাত তুলে দিলো। আসলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সরকারের কাজই তাই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান থেকে হাত তুলে নিয়ে আস্তে আস্তে সেগুলোকে বেসরকারি হাতে তুলে দাও। এবং তা সুকৌশলে করতে গেলে সংসদীয় গণতন্ত্রে মানুষের সম্মতিতে নির্বাচিত একটি সরকারকে প্রথমে সরকারি ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তৈরি করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। উপরে আরএসএস, বিজেপি, মোহন ভাগবত এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির সরকার এবং তার মাঝে পিষ্ট রাজ্যের গরিব মেহনতি মানুষ।
এখন গভীর সমস্যায় পড়েছে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা। ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল। আর মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জের মতো প্রেস মিট করে, ইন্ডোর স্টেডিয়াম ভাড়া করে কখনও ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছেন, কখনও বলছেন— অযোগ্যদের সংগঠন তৈরি করো। আসলে শিক্ষা ব্যবস্থা গরিবের থাকবে, নাকি যার বাবার পকেটে টাকা থাকবে, শুধু তারই থাকবে— লড়াইটা এখানেই। শিক্ষা সমষ্টির হবে, না কয়েকজন মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হবে, লড়াইটা এখানেই।
শিক্ষার লড়াই। ২৬ হাজারের মধ্যে যোগ্যদের চাকরিতে ফেরানোর লড়াই। স্কুল ব্যবস্থাকে বাঁচানোর লড়াই। তাই জবাব চাইতে কমিশন ঘেরাও করতেই হবে। মাস্টারমশাইরা ডাক দিয়েছেন ১৭ তারিখ বেলা ১টার সময় কমিশন অভিযান হবে। কীসের দাবিতে? সোজা কথা, কমিশন ২০১৬ সালে ২২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষা নিয়েছে তার মধ্যে ২৬ হাজার জনকে বেছেছে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী হিসাবে। কমিশন ২১ লক্ষ ৭৪ হাজার চাকরি প্রার্থীকে বাতিল করেছে। কীসের ভিত্তিতে কমিশন ২৬ হাজারকে যোগ্য মনে করেছে এবং ২১ লক্ষ ৭৪ হাজারকে অযোগ্য মনে করেছে, তা প্রকাশ করতে হবে। যাদের যোগ্য মনে করেছে এবং যাদের অযোগ্য মনে করেছে তার প্রমাণ দেখাতে হবে। এটা কোনও অন্যায় দাবি নয়।
আমাদের সারা রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন, ১৭ তারিখে আপনারা চোখ রাখুন এসএসসি অভিযানের দিকে। নিশ্চিতভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার গণতান্ত্রিকভাবে উত্তর দেবে। কিন্তু যদি আরএসএস-এর ভূত মাথায় চেপে বসে, এবং আরএসএস দ্বারা পরিচালিত তৃণমূল সরকার যদি আরএসএস’র প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা রক্ষা করতে চায়, তাহলে ১৭ তারিখেও পুলিশ পেটাবে।
যাই হোক না কেন, বামপন্থীরা সমাজতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে, শ্রেণির পক্ষে লড়াই করে। আর প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে পালটাতে গেলে এই সমাজের যারা ধারক বাহক রক্ষক, তাদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়। চিরকাল তাই হয়েছে। তাই ১৭ তারিখ কমিশন অভিযান করে ২০ এপ্রিল আমরা ব্রিগেডের মাঠে জমায়েত হবো। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য এবং গরিব বাড়ির সন্তানদের শিক্ষার আঙিনায় নিয়ে এসে দেশকে, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে আসুন ১৭ তারিখ এসএসসি কমিশনে দেখা হবে। ২০ এপ্রিল একই দাবিতে ব্রিগেডের মাঠে দেখা হবে।
Comments :0