উত্তর প্রদেশে একই দিনে দু’জায়গায় নাবালিকা এবং ২ কিশোরীকে অমানুষিক অত্যাচার চালানোর ঘটনা সামনে এল। বাদাউন জেলায় পরপর ধর্ষণের শিকার হলো ১০ বছরের নাবালিকা। অন্যদিকে, মথুরাতে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে এসে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং অত্যাচার করার ঘটনা সামনে এল। বৃহস্পতিবারে দু’টি ঘটনা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাদাউনে একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় ১০ বছরের নাবালিকা পরপর ধর্ষণ করে ৩ দুষ্কৃতী। এই অমানুষিক অত্যাচারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ওই নাবালিকা এই মুহূর্তে এখানকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারিরীক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে সূত্রটি জানিয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ববি, রামবাবু এবং সনু নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতারা ওই নাবলিকার পরিচিত। বুধবার রাতে তারা ভুলিয়ে ভালিয়ে ওই নাবালিকা এই কারখানায় তুলে নিয়ে আসে। মেয়ের সন্ধান না পেয়ে তার অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা খুঁজতে খুঁজতে এই কারখানায় এলে ওই ৩ দুষ্কৃতীকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। এদিন ভোরে পুলিশের হাতে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশ সূত্র জানা গেছে।
অন্যদিকে, মথরায় দিল্লি-আগ্রা জাতীয় সড়কের পাশে একটি ধাবায় কিশোরীদেরকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হত। একেবারে পুলিশের নাকের ডগায় ধাবার আড়ালে মহিলাদের দিয়ে অশালীন কাজ চলছিল রমরমিয়ে। ১৬ বছরের নিখোঁজ কিশোরী সন্ধান করতে গিয়ে তাকে ওই ধাবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ধাবা থেকে আরও এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনকেই এই ধরণের অশালীন কাজ করাতে বাধ্য করা হত। না হলে তাদেরকে মারধরও করত ধাবার লোকজন। উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরীর বাড়িই পশ্চিমবঙ্গে। ওই ধাবা থেকে চারজন গ্রেপ্তার করা ছাড়াও প্রচুর মদের বোতল সহ বেশকিছু আপত্তিজনক জিনিস পাওয়ার কথা এদিন জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।
বিজেপি’র সুশানে যে কোনও অপরাধে দেশের প্রথম সারিতে এখন উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্য কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল পরিনত হয়েছে যোগীর আমলে। নারীদের নিরাপত্তা প্রায় তলানিতে। শিশু থেকে বৃদ্ধা, খুন ধর্ষণ, অপহরণ, শ্লীলতাহানী, নির্যাতন সহ সমস্ত ধরণের অপরাধের শিকারের ঘটনা অহরহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। বহু অপরাধের ঘটনার তথ্য চেপেও যাওয়া হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি নিয়ে বিরোধীরা সরব হলেও কোনও হেলদোলো নেই যোগীর পুলিশ প্রশাসনের।
Comments :0