Rivers Erosion

গোবরজ্যোতি নদী ভাঙনে আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

জেলা

Rivers Erosion


বর্ষা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। বিঘের পর বিঘে জমি চলে যায় জলের তলায়। তাই আতঙ্কে আলিপুরদুয়ারের গ্রামবাসীরা। আর কিছুদিন পরেই বর্ষা। বাঁধ সংস্কার না হলে বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তাই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটচ্ছেন গ্রামবাসীরা। গোবরজ্যো তি নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভুটান সীমান্তবর্তী কালচিনির খোকলাবস্তির মানুষ। নদীতে পাকা বাঁধ না থাকায় এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে তাদের দাবি। তাই বর্ষা আসার আগে গোবরজ্যোতি নদীতে পাকা বাঁধ দেওয়ার দাবি জানালেন তাঁরা।
গত পাঁচ বছর ধরে গোবরজ্যোতি নদীর ভাঙনে আলিপুরদুয়ারের এই এলাকার বহু মানুষের উর্বর কৃষি জমি, সুপারি বাগান  নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। অনেকেই চাষের জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। 
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,  দীর্ঘদিন থেকে জল যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে আমাদের। রাস্তাঘাট বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসল প্রচুর নষ্ট হয়। ফলে চরম আর্থিক সংকটে ভুগতে হয় আমাদের।


বাসিন্দারা জানান, ভাঙন রোধের জন্য নদীতে পাকা বাঁধ নির্মাণ করার আবেদন জানিয়ে তাঁরা একাধিক বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে কোথাও থেকে এখনও নির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস মেলেনি। সামনেই বর্ষা। সেই সময় গোবরজ্যোতি নদী ফুলেঁফেপে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। আর তার জেরেই বর্ষাকালে ভাঙন সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে। নদীর পাড় পাকা বাঁধ দিয়ে না বাঁধলে এবছরও বহু মানুষের কৃষি জমি, সুপারি বাগান নদী গর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা খোকলা বস্তির মানুষের। 
বর্ষায় ভুটানের পাহাড় নেমে আসা জলে বিশাল রূপ ধারণ করে এই গোবরজ্যোাতি নদী। আগে নদীটি ১৫ ফুট চওড়া ছিল। বর্তমানে তা পাড় ভাঙতে ভাঙতে ২০০ ফুট চওড়া হয়ে গিয়েছে। গ্রামটা আস্তে আস্তে ছোটো হচ্ছে নদী চওড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এই এলাকার মানুষ। 

Comments :0

Login to leave a comment