আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ সতর্কবার্তা, নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গ এবার কুয়াশার কবলে পড়েছে। কুয়াশার প্রভাবে যেমন কৃষিকাজে প্রভাব পড়বে তেমনি স্বাস্থ্যতেও প্রভাব পড়বে। অন্তত একমাস আগে উত্তরবঙ্গে কুয়াশা এসেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে কুয়াশার প্রভাব মারাত্মক ভাবে পরিবেশে পড়বে। কুয়াশার স্থিতিশীলতা গুরুত্বহীন হলেও নিম্নস্তরের শীতলতা মাটির কাছাকাছি বাতাসকে স্থিতিশীল করে কুয়াশাকে স্থায়ী করতে পারে।
আবহাওয়া আধিকারিকদের বক্তব্য,গত তিনদিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কুয়াশা উত্তরবঙ্গে এসে পড়েছে। যদিও পাহাড়ের দুই জেলার তুলনায় উত্তরবঙ্গের বাকি ৫ জেলায় কুয়াশা কিছুটা কম রয়েছে। কুয়াশার কারণে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কম। তবে দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকছে।
আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কুয়াশার দাপট বাড়ে। এবারে নভেম্বরেই কুয়াশা এসেছে উত্তরবঙ্গে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবারে দিল্লী রাজস্থানে আগাম কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকেই পরিচালন পদ্ধতিতে কুয়াশা উত্তরবঙ্গে আসছে। এই কুয়াশা কিছুটা বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এরকম পরিস্থতি আরো দু তিনদিন থাকতে পারে।
আগাম কুয়াশায় মরসুমী চাষে উপকার করলেও অতি কুয়াশা অনেক চাষের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। আগাম কুয়াশায় ফুলকপি, বাঁধাকপির মত সবজি চাষে সুবিধা করে দিলেও আলু চাষে ক্ষতি হতে পারে। ধসা রোগের প্রকোপ দেখা যেতে পারে। টমেটো সীম জাতীয় ফসলেরও ক্ষতি হতে পারে।
চিকিৎসক নির্মল কুমার রায় জানিয়েছেন, আগাম কুয়াশা শ্বাস প্রশ্বাসে বিরুপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধদের এই সময়ে সতর্ক রাখতে হবে। কুয়াশার শ্বাস নেওয়া মানেই ফুসফুস ঠান্ডা এবং জলযুক্ত বাতাসের সংস্পর্শে আসবে। এতে ক্ষতি হবার সম্ভবনা বেশি। হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট এবং শীতকালীন নানা রোগে আক্রান্ত রোগী ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে আসছে। কুয়াশা থেকে নিজেকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ ফি বছর ডিসেম্বরে কুয়াশা আসে। আমাদের শরীর সেটাতেই অভ্যস্ত। নভেম্বরের রাতে কুয়াশা আর দিনে গরম শরীরে সহ্য হতেই পারে।
Weather North Bengal
কুয়াশার কবলে উত্তরবঙ্গ, শিশু ও বৃদ্ধদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
×
Comments :0