জনগণনার কবে হবে জানানোর দাবি জানালো সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। জাতভিত্তিক গণনার বিশদ জানানোরও দাবি জানানো হয়েছে।
পহেলগামে সন্ত্রাস পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে সংশোধিত ওয়াকফ আইন, রাজ্যপালদের ক্ষমতা সংক্রান্ত রায়, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী অপারেশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যুদ্ধ, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সমঝোতা, গাজায় গণহত্যা, বিহারের নির্বাচন প্রসঙ্গে মত জানিয়েছে পলিট ব্যুরো। রবিবার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হবে ৩-৫ জুন নয়াদিল্লিতে।
পলিট ব্যুরো জানিয়েছে অক্টোবরে বিহারের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সিপিআই(এম)। ‘মহাগঠবন্ধন’-র শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার উল্লেখ করেছে পলিট ব্যুরো। রবিবার বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মুসলিম উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এদের কার্যকলাপে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির সুবিধা হয়ে যাচ্ছে।
জাত জনগণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে সাধারণ জনগণনার সঙ্গে জাতগণনা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। বহুদিন ধরে এই দাবি উঠছে। তবে জাত গণনার তথ্য কিভাবে নেওয়া হবে বিশদে তা জানানো হয়নি। সাধারণ জনগণনাও না হয়ে পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রকে দ্রুত জনগণনার সূচি ঘোষণা করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা হয়। ২০২১ সালেই তা হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র করেনি। এই প্রথম জনগণনা বা সেন্সাস রিপোর্ট দশ বছরের মাথায় প্রকাশ করা হলো না।
ওয়াকফ সম্পর্কে পলিট ব্যুরো আরও বলেছে, বিভিন্ন শহরে মুসলিমদের ওপর হামলার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি দখলেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আইনকে ব্যবহার করে মুসলিম বিপক্ষে ধর্মীয় মেরুকরণ করা হচ্ছে। বিজেপি’র কোনও কোনও নেতা বলছেন যে এরপর চার্চের সম্পত্তির দিকে নজর দেওয়া হবে। যার অর্থ, এদের আসল উদ্দেশ্য হলো সাংবিধানিক অধিকার ও সুরক্ষা বাতিল করে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করা।
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় পাশ বিল রাজ্যপালদের আটকে রাখার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে রাজনৈতিক লক্ষ্য পুরণে কাজ করা রাজ্যপালদের দায়িত্ব নয়। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা তাঁদের।
পলিট ব্যুরো বলেছে, এই রায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় ধাক্কা। রাজ্যপালদের ব্যবহার করে বিরোধী পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলির কাজ স্তব্ধ করতে চাইছে কেন্দ্র। বিবৃতিতে বলেছে, রাজ্য বিধানসভার মতকে মর্যাদা দেওয়ার বদলে মোদী সরকার রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রহী। উপরাষ্ট্রপতি এবং বিজেপি নেতাদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে চলেছেন। এই কার্যক্রম নিন্দাজনক।
ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনের ‘অপারেশন কগার’ প্রসঙ্গে পলিট ব্যুরো বলেছে যে এই অভিযান আদিবাসীদের জীবনকে সন্ত্রস্ত করছে। মাওবাদীদের আলোচনার প্রস্তাব সরকারের বিবেচনা করা উচিত। নিরীহ আদিবাসীরা যাতে গুলিযুদ্ধের মাঝে পড়ে প্রাণ না হারান তা নিশ্চিত করতে হবে। কেবল অস্ত্র ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
CPI-M Caste Census
জনগণনার সূচি, জাতগণনার বিশদ জানানোর দাবি পলিট ব্যুরোর

×
Comments :0