আসন ভাগের সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করা হবে। তবে আসামে আসন ভাগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ এখন দেওয়া ঠিক হবে না। সোমবার এই অবস্থান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আসামে আসন ভাগ নিয়ে বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রকে।
গত ২০ জুন আসামে আসন ভাগে খসড়া নোটিশ প্রকাস করা হয়েছে। সাংবিধানিক বৈধতা এবং নোটিশে বিবৃত আসন ভাগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। তার মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই(এম), সিপিআই-ও রয়েছে।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সংশোধিত ৮ক ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আসাম, মেঘালয়, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে আসন পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ দিতে পারেন। এই দলগুলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন অংশের অভিযোগ, খসড়ায় মুসলিম ঘনত্ব বেশি এমন ক্ষেত্রগুলিকে হিন্দু প্রধান অঞ্চলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজেপি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে এই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। রাজ্যে তীব্র হচ্ছে মেরুকরণও।
এদিন আবেদনে এই দলগুলির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ক ধারার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে বিচার করা দরকার। কিন্তু এই ধারায় যে বিধিগুলির কথা বলা রয়েছে, ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়ায় তা-ও মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রক্রিয়া চলার কথা। তা হচ্ছে না। বলা হয়েছে যে ডিলিমিটেশন কমিশনের প্রধান হওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির। এক্ষেত্রে তা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এই ধারার সাংবিধানিক বৈধতা দেখা হবে। দিল্লি সরকারের আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণের অধিকার বাতিল করে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। সাংবিধানিক বেঞ্চে তার বৈধতা বিচার করা হচ্ছে। এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলেই আসামের বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চে তালিকাভুক্ত হবে। কিন্তু চালু ধারায় এই প্রক্রিয়া চালানোর সংস্থান রয়েছে। তা চালু হয়েছে। ফলে এখনই বাধা দেওয়া অনুচিত হবে।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে আসন ভাগ নিয়েও মুসলিম প্রধান আসনগুলিকে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Comments :0