৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল জনগণের টাকা চুরি করায় রাজ্যবাসীকে গোয়াল ঘরে থাকতে হচ্ছে। এবার রাজ্যবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যারা এই চোরদেরকে বাংলায় রেখে দিয়েছেন সেই বিজেপি সহ তৃণমূলকে আগামী নির্বাচন রাখবে কি না? রবিবার বনগাঁর মতিগঞ্জ মোড় ও গোবরডাঙায় সমাবেশে একথা বলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের সামনে রেখে ডিওয়াইএফআই বনগাঁ শহর লোকালের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় জনসভা হয়। তিনি ছাড়া বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব ও সভাপতি শফিকুল সর্দার।
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, আমরা ৫০ দিন ধরে পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে এ বার্তা দিয়েছি কোনও অবস্থাতে এদের ছাড়া যাবে না। বাংলার যুবরা এ কাজ করতে বদ্ধপরিকর। বেকারদের চাকরি চোর, রেশনের চাল চোর, সোনা পাচারকারী, গোরু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। প্রয়োজনে আবার ইনসাফ চেয়ে রাস্তায় নামা হবে। তিনি বলেন, বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, মকুল রায় এরা সব আরএসএস-এর ছাতার তলায় আছে।
এদিন সভা পরিচালনা করেন যুবনেতা রাতুল তরফদার।
গোবরডাঙায় বাজার সংলগ্ন মাঠে জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, তৃণমূল সরকার ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও দেশ বিক্রির বিজেপি-র বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে মানুষের ঢল নামবে। তিনি বলেন, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার হাতে হাত মিলিয়ে যৌবন শক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলই আরএসএস দ্বারা পরিচালিত। প্রায় সব ইস্যুতেই বিজেপি-কে সমর্থন করে চলেছে তৃণমূল। তিনি রাজ্য ব্যাপী তৃণমূলের লাগামহীন দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চরম অবনতির প্রতি কটাক্ষ করেন। বিগত দুই দশক ধরে পশ্চিমবাংলার যুব সমাজের সঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপি প্রতারণা করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। গোবরডাঙার হাসপাতাল বন্ধের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংস করে ছেড়েছে এই তৃণমূল সরকার বলে তিনি অভিযোগ করেন। গোবরডাঙা পৌরসভার দুর্নীতি এবং এখানকার একজন তৃণমূল নেতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হয়েও কীভাবে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব,সভাপতি সফিকুল সরদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা সুস্মিতা চক্রবর্তী। সভা পরিচালনা করেন দেবাশিস দাস।
Comments :0