CPI-M

বাংলাভাষীদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এখনই, দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির

জাতীয়

ভুবনেশ্বরে হেনস্তার শিকার পরিযায়ীদের পাশে যুব নেতৃবৃন্দ। ছবি সংগ্রহ থেকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী নাগরিকদের ওপর আক্রমণ এখনই বন্ধ করতে হবে। 
তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকের পর এই দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। মঙ্গলবার বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি অভিনন্দন জানিয়েছে বিহারের এসআইআর বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ ভূমিকাকে। বলা হয়েছে, জনতার ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এই চেষ্টার প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখতে সক্রিয় থাকবে পার্টি। 
কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন আক্রমণের সময় বিপন্ন শ্রমজীবীদের পাশে থেকেছে পার্টি। সেই ভূমিকা আগামী দিনেও নেওয়া হবে। 
উল্লেখ্য, দিল্লি থেকে গুরগাঁও বা ওড়িশার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় বারবার ছুটে গিয়েছেন বামপন্থী নেতৃবৃন্দ। পুলিশের কাছে ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে অনেক জায়গায়।
কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, নথিপত্র পরীক্ষা না করেই বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি বলে দেগে দিয়েছে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ। এমন ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া মানা হয়নি। স্থলপথে এবং সমুদ্রপথে ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। 
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেককে ধরে আটক করে রাখা হয়েছে পুলিশের হেপাজতে। অমানবিক নিপীড়ন চালানো হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া বন্ধ করার ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)। 
এসআইআর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আধার কার্ডকে যোগ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করে নাম ভোটার তালিকায় রাখতে। কিন্তু এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দেখতে হবে যাতে কোনও যোগ্য ভোটদাতাকে বাদ না দেওয়া হয়। 
আসাম প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে হাতিয়ার করে এ রাজ্যে উচ্ছেদ চলছে। মানুষকে তাঁদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। 
কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছে, আসামে খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। বেসরকারি কর্পোরেটকে এই সম্পদের মালিকানা দিতে চাইছে আসাম সরকার। এই বেআইনি উচ্ছেদ এখনই বন্ধ করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment