জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পিএইচডি গবেষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবাদে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে দুই পিএইচডি শিক্ষার্থীকে গত বছর একটি সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ আয়োজন করার অভিযোগে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার থেকে এই প্রতিবাদ শুরু হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ‘‘ছাত্র আন্দোলনের ওপর দমন’’ বলে অভিহিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ক্যান্টিন ভাঙচুর করেছে এবং নিরাপত্তা পরামর্শকের অফিসের গেট ভেঙেছে, যা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছে।
পুলিশ সূত্রের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছিল। ছাত্রনেতা সোনাক্ষী জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীদের চারটি প্রধান দাবি রয়েছে: দুই পিএইচডি শিক্ষার্থীকে দেওয়া শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার ২০২২ সালের অফিস মেমোরেন্ডাম বাতিল, গ্রাফিতি ও পোস্টারের জন্য আরোপিত ৫০,০০০ টাকা জরিমানা বাতিল এবং ভবিষ্যতে প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘‘জামিয়া প্রতিরোধ দিবস’’ আয়োজনের ক্ষেত্রে ওই দুই পিএইচডি শিক্ষার্থীর ভূমিকা পর্যালোচনা করার জন্য বৈঠক করবে, যা ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদের বার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠান হিসেবে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪-এ পালিত হয়েছিল।
এই ঘটনাকে গণতন্ত্র এবং ছাত্রদের অধিকার বিরোধী বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন সমাজকর্মী এবং পৌরসমাজের একাংশ।
Jamia Milia University
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া জামিয়ার ১০ জন পড়ুয়াকে আটক

×
Comments :0