ছাঁটাইয়ের হুমকি দিয়েছিলেন দু’দিন আগে। তাতেও ভাঙা যায়নি নার্সদের ধর্মঘট। এবার এক দফায় প্যাকেজের ইঙ্গিত দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন জানাচ্ছে যে নার্স সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটেনের ‘মিরর’ জানাচ্ছে সুনক ছাঁটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তবে পরোক্ষে। এক মাস ধরে চলছে ধর্মঘট। রয়্যাল কলেজ অব নার্সিংয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘সরকার পরের বছরের বেতন কাঠামো নিয়ে চুক্তি করতে চাইছে। তার আগে চলতি বছরের বকেয়া তো মেটাতে হবে।’’
এর পরই সুনককে প্রশ্ন করা হয় ছাঁটাইয়ের দিকে সরকার এগতে চাইছে কিনা। সুনক সরাসরি ‘না’ বলেননি। ছাঁটাইয়ের হুঁশিয়ারি ঝুলিয়ে রেখে তিনি বরং বলেছেন, ‘‘ট্রেড ইউনিয়নের স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু মনে রাখা দরকার অন্য নাগরিকদেরও পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই দু’য়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে।’’
ধর্মঘটীদের সঙ্গে অন্যদের স্বার্থসংঘাত বাঁধানোর কৌশল যদিও প্রায় সব দেশেই চলে। সুনক নিজেই টেনে এনেছেন ‘ন্যূনতম পরিষেবা আইন’ প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, ‘‘ফ্রান্স, ইতালি, স্পেনের মতো বিভিন্ন দেশেই এমন আইনি কাঠামো রয়েছে।’’
নার্স এবং অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের যৌথ ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে দেশের সব বড় ট্রেড ইউনিয়ন। ব্রিটেনে একাধিক ক্ষেত্রে কর্মীরা নামছেন ধর্মঘটে। ট্রেড ইউনিয়নের তরফে টুইট জরা হচ্ছে একাধিক ভিডিও।
এক মহিলা নিজেকে জেলাস্তরের নার্স বলে পরিচয় দিয়ে বলছেন, ‘‘প্রতি ৮টির মধ্যে ১টি করে পদ খালি। সরকারি পরিষেবা নিতে আসেন মানুষ ভরসা রাখেন বলে। অথচ আমরা পরিষেবা দিতে পারছি না। আমি তো কাউকে নিয়োগ করতে পারব না।’’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী স্টিভ বার্কলেকে জিজ্ঞেস করা হয় যে আগের বছরের বকেয়া সরকার মেটায়নি। নতুন বকেয়া মেটানোর দাবি মানবে কিনা। বার্কলে জবাব এড়িয়েছেন।
{ad]
এক মাস ধরে ধাপে ধাপে ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১ লক্ষ নার্স।
Comments :0