আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নামে দায়ের হতে পারে চার্জশিট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছে যে রাজ্য সরকার চার্জশিট দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। 
সেই সঙ্গে রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিল আন্দোলনরত চিকিৎসকদের হেনস্তার কৌশল অব্যাহত রেখেছে। বুধবার বিকেল তিনটেয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে চিকিৎসক মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। 
আর জি কর কাণ্ডের পাশাপাশি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে জাল স্যালাইন কাণ্ডেও চিকিৎসকদের ওপর দায় চাপাতে মরিয়া রাজ্য। ভবানী ভবনে ডেকে জেরা করা হচ্ছে চিকিৎসকদের। অথচ নিম্নমানের স্যালাইন সরবরাহে দায়ে সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিক্যালসের কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোর রাজ্যের সরকারের নেই। 
চিকিৎসক আন্দোলনের নেতা ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি, ডাঃ মানস গুমটা, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এবং অধ্যাপক রঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এফআইআর দায়ের করেছে বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স থানায়। অভিযোগ জানানো হয়েছে যে তাঁরা নাকি নিজের কাজে অনুপস্থিত থেকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি দায়ের হয় এই এফআইআর। 
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী যিনি অবৈধভাবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের মাথায় বসে আছে। তিনিই আবার অন্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন। 
এদিকে মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। সন্দীপ ঘোষকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ফেরানোর আলোচনা চলছে এই দায়ীদের রেখে। এই প্রক্রিয়াতেও তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
এদিকে আর জি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা মন্ত্রী বিধায়করা পরিবারের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে যাচ্ছে। হাইকোর্টে পরিবার জানিয়েছে যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির পরিবর্তে তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত গোটা চক্রের শাস্তি নিশ্চিত করা। এতেই রুষ্ট তৃণমূল।